পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
- পিরোজপুর প্রতিনিধি
- ২৬ মে ২০২৪, ১৯:৩৭
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পিরোজপুর জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিন লাখের অধিক মানুষকে আশ্রয় দিতে ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পিরোজপুরে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে ।
শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার কঁচা, বলেশ্বর ও কালিগঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর পানি জোয়ারে এক থেকে দেড় ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বাড়ছে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নদীপাড়ের লাখের অধিক মানুষের মাঝে।
তবে এখন পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের কিছু এলাকা ছাড়া এখানকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়া শুরু করেনি। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তুলনামূলক নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। বেড়িবাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙা থাকায় সহজেই জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে এসব এলাকা।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক হলে মাছ চাষিদের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। মাছের ঘেরে নেট দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে মৎসজীবীদের। এ ছাড়া জেলেদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, দুর্যোগ আক্রান্তদের আশ্রয় দেয়ার জন্য ২৯৫টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ২৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে তিন লাখের অধিক মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের কাছে ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা, ৬১১টন চাল, এক হাজার ৩৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৯৭ ব্যান্ডেল টিন মজুদ রয়েছে।
আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য ৬৫টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সার্বিক যোগাযোগের জন্য মোট আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা