১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বেতাগীতে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও দমকা বাতাস

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে সকাল থেকে মাঝারি ধরনের টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সাথে বইছে দমকা হাওয়া।

রোববার বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। আকাশ ঘনকালো মেঘে ঢেকে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সর্তক করতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।

তবে, পায়রা নদী বন্দর ও বিষখালী নদীর মধ্যবর্তী অংশ হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষখালী নদীতে স্বাভাবিক জোয়াড়ের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উপ-পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি জেলে ও মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল সিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে আশ্রয়ের জন্য উপজেলায় ১১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫৭টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ১০টি মেডিক্যাল টিম, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে চারটি দল গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সার্বক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও জনসাধারণকে সচেতন করতে উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করা হচ্ছে। জরুরি মুহূর্তে বিতরণের জন্য চাল মজুদ আছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও যুব রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছে। সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ও যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা সকল আশ্রয়কেন্দ্র পরিদশন করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement