ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র প্রভাবে মির্জাগঞ্জে দমকা বাতাসসহ শুড়ি গুড়ি বৃষ্টি
- উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
- ২৬ মে ২০২৪, ১২:২৮
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শুরু হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।
রোববার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে ও থেমে থেমে দমকা বাতাস বইছে। আবার কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলায় ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পায়রা পাড়ের পিপড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু সুজিৎ মজুমদার জানান, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত আছেন।
এ দিকে, পায়রা ও শ্রীমন্ত নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় ১০ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে এবং সকাল থেকেই উপজেলা প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা সচেতনামূলক মাইকিং করেন এবং পায়রা নদীর তীরবর্তী এলাকায় গিয়ে সকলকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: তরিকুল ইসলাম জানান, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলার জন্য উপজেলায় ১৫ টন খাদ্যশস্য, শিশু খাদ্যের জন্য ৫০ হাজার এবং গো-খাদ্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও নগদ অর্থ রয়েছে এক লাখ টাকা এবং স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন যারা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন। প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি মেডিক্যাল টিম। খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রয়েছে ২০ হাজার ট্যাবলেট।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মির্জাগঞ্জ উপজেলার দলনেতা মো: রাব্বি মল্লিক জানান, আবহাওয়া দফতর থেকে পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে দিতে বলার পরে উপজেলার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সদস্যরা সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করেন। উপজেলা পায়রা পাড়ের লোকজনকে নিরাপদে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, নদীর পাড়ে বাতাসের গতিবেগ অনেক বেশি দাঁড়ানো যায় না। তবে সময় যত গড়াচ্ছে বাতাসে গতিবেগ ও নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা