১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঝালকাঠিতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৩

- ছবি : নয়া দিগন্ত

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ঝালকাঠি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উঠান বৈঠকে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়াম্যানপ্রার্থী সুলতান হোসেন খানের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙ্চুরের ঘটনায় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমানসহ ১৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার সকালে সুলতান হোসেন খানের ছোট ভাই হেমায়েত উদ্দিন খান এ মামলা দায়ের করেন।

চেয়ারম্যানপ্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা আলফি শাহরুন শুভ, ইশতিয়াক আহমেদ শোভন ও তুহিন হাওলাদার।

এছাড়াও এ মামলায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিল রেজাউল করিম জাকির, পৌর কাউন্সিল কামাল শরিফ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিল হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ মধু, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজকেও আসামি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উঠান বৈঠকের আয়োজন করে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান। সভার শেষ দিকে তিনি বক্তব্য শুরু করলে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী খান আরিফুর রহমানের সমর্থকরা অর্তকিতভাবে হামলা চালায়। এতে সুলতান হোসেন খান ও স্থানীয় তিন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হামলায় আহত অন্যদেরকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে।

হামলায় ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি শফিউল ইসলাম সৈকত, ডিবিসি নিউজের অলোক সাহা ও আমাদের বার্তার প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সুইট আহত হন। আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত অন্যরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম রুহুল আমীন রেজভী, সুলতান হোসেন খানের সমর্থক কেএস জাহিদ, মনির খান, রুবেল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মিলু।

সুলতান হোসেন খান অভিযোগ করেন, ‘আমার বিজয় সুনিশ্চিত দেখে খান আরিফুর রহমানের-কর্মী ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে আমিসহ ২০ জন আহত হয়েছি। আমি নির্বাচনের মাঠে আছি এবং থাকবো। যতই নির্যাতন আসুক না কেন, আমাকে মাঠ থেকে সরানো যাবে না। প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ ব্যাপারে আনারস প্রতীকের প্রার্থী খান আরিফুর রহমান বলেন, কীর্তিপাশা মোড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সভায় কে বা কারা হামলা করেছে তা আমি কিছুই জানি না। তবে কির্তীপাশা মোড়ে দোয়াত কলম মার্কার সমর্থকরা আমার আনারস মার্কার অফিস ভাঙ্চুর করেছে।

ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের নির্বাচনী সভায় হামলা ও ভাঙ্চুরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত করে বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement