ভূমিহীন আবদুল্লাহর ২ যুগের বেশি মসজিদে বাস, চান একটি ঘর
- মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা
- ০৩ মে ২০২৪, ২০:০৪
আশ্চর্য না হয়ে উপায় নেই আবদুল্লাহ আল মামুনের (৫৩) জীবন সম্পর্কে জেনে। মসজিদেই যার বসবাস। তবে তিনি চান একটি ঘর।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড গোরস্থান জামে মসজিদে দীর্ঘ দুই যুগের বেশিসময় ধরে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালনসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রোজা, দোয়া ও তাসবি-দরুদ পাঠ করে দিন কাটাচ্ছেন।
দিনের ২৪ ঘণ্টা মসজিদে তার দেখা মেলে। পৃথিবীর কোনো লোভ বা ভাবনা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। কেউ আগ্রহ করে খাবার দিলে খায়, না দিলে আল্লাহর ধ্যানে মসজিদে দোয়া দরুদ করে দিন কাটান। পৃথিবীতে একমাত্র বোন ছাড়া আর কিছুই নেই তার। কখনো কারো কাছে সাহায্য চাইতেও দেখা যায়নি। সহায় সম্পত্তি বলতে কিছু নেই, বিয়েও করেননি তিনি।
বরগুনার বামনা উপজেলার খোলপটুয়া বান্ধাঘাটার মরহুম মো: নাদের আলী দরবেশের ছেলে শান্তশিষ্ট বিনয়ী স্বভাবের আবদুল্লাহ আল মামুন মঠবাড়িয়া পৌরশহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা।
সহায় সম্পত্তি না থাকার কারণে অভারের তারণায় প্রায় ৩০-৩৫ বছর পূর্বে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া আসেন। তার বাবা মো: নাদের আলী দরবেশ মৃত্যুবরণ করলে পৌর শহরের মাটিয়া জামে মসজিদ গোরস্থানে দাফন করা হয়।
আবদুল্লাহর জীবনাচরনের খবর পেয়ে তার সাথে গোরস্থান জামে মসজিদে দেখা করতে গেলে তিনি বলেন, ‘একটি ঘড় দিলে ভালো হয়’। তার সাথে কথা বলে মনে হয়েছে অত্যন্ত সহজ-সরল সুখী মানুষ তিনি।
গোরস্থান জামে মসজিদের উপদেষ্টা মো: মনির আকন বলেন, ‘আবদুল্লাহর মাথা গোজার ঠাঁই নেই, খেয়ে না খেয়ে দিন কাটান ও মসজিদের সেবা করেণ তার জন্য একটি ঘড় দরকার।’
মসজিদের ইমাম জায়েদুল ইসলাম হানিফ বলেন, আবদুল্লাহ বহু বছর পূর্ব থেকে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন ও স্বেচ্ছায় মসজিদের খেদমত করে আসছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা