গৌরনদীতে আ’লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যানসহ রক্তাক্ত জখম ৫
- বরিশাল ব্যুরো
- ০৩ মে ২০২৪, ১৮:৩১
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাটাজোর বাসস্যান্ডে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন রক্তাক্ত জখম হয়েছে।
গুরুতরভাবে আহত দুইজনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: মনির হোসেন মিয়া জানান, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুসহ ১০-১৫ জন সমর্থকদের নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাটাজোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকর্মী আলতাফ হোসেনের জানাজায় যোগদানের জন্য রওয়ানা হন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে কতিপয় সমর্থকদের সাথে দাড়িয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হারিছুর রহমানের সমর্থক উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো: দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার সেখানে উপস্থিত হলে মনিরের এক সমর্থক মনিরের সাথে দেলোয়ারের ছবি তুলে। এ সময় যুবলীগ নেতা দেলোয়ারের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মি ইমতিয়াজ মাহমুদ (৩২) ক্যামেরাম্যানকে থাপ্পর মারে। এ নিয়ে উভয় সমর্থকদের মধ্যে হাতাহারি ঘটনা ঘটে।
মো: মনির মিয়া অভিযোগ করেন বলেন, যুবলীগ নেতা দেলোয়ারের সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ, সমর্থক পলাশ হোসেন (২৭) ও মামুন খানকে (৩২) কুপিয়ে রক্তাক্তভাবে জখম করে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের সমর্থক ও বাটাজোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কালু তালুকদার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ দেলোয়ার হোসেনকে লক্ষ করে পিস্তল দিয়ে গুলি করে এতে দেলোয়ার হোসেন ও তার ছেলে ইমতিয়াজ মাহমুদ আহত হন।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো: শাহাদাত হোসেন জানান, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহর অবস্থা সঙ্কাটাপন্ন। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত অধিক গভীরতর এবং দেলোয়ার হোসেনের জখমের গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামাত পাওয়া যায়নি।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো: মাজাহারুল ইসলাম বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: মনির হোসেন মিয়া ও মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু সমর্থকদের নিয়ে একটি জানাজায় যাওয়ার পথে বাটাজোর বাসট্যান্ডে ছবি তোলা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। এ সময় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহসহ তিনজন আহত হন। গুরুতরভাবে আহত সৈকত গুহ ও দেলোয়ার হোসেনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখানে গুলি বৃদ্ধ হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি কিংবা স্থানীয়রা গুলির কোনো শব্দ পাননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা