স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার জেরে চাচতো ভাইকে পিটিয়ে আহত
- মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:২৪
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ানোর জেরে চাচাত ভাই বাদলকে পিটিয়ে আহত করেছে সোহেল ও তার লোকজন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে। সোহেল হাওলাদার ও বাদল হাওলাদার আপন চাচতো ভাই।
আহত বাদল বর্তমানে বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত বাদল জানান, ‘আমি ঢাকায় একটি বায়িং হাউসে কাজ করি। ছুটিতে বাড়ি এলে শুক্রবার আমি চান্দুখালী খালা বাড়ি বেড়াতে যাই। বিকেলের দিকে বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি সাদা রঙয়ের গাড়ি আমার গাঁ ঘেঁষে থামায়। দরজা খুলে টেনে আমাকে গাড়ির ভেতরে তুলে নেয়। ভেতরে ছিলেন চাচতো ভাই সোহেল, তার শ্যালক আল আমিনসহ চার থেকে পাঁচজন। গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার পথে সবাই মিলে আমাকে বেদম মারধর করে। তারপর সোহেলের শ্বশুরবাড়ি চালিতাবুনিয়া গাড়ি থামিয়ে টেনে-হেঁচড়ে ওর শ্বশুর দুলাল খানের ঘরে নিয়ে হাত-পাঁ বেঁধে সবাই মিলে আবার মারতে শুরু করে। পরে আমাদের স্থানীয় কাকড়াবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন ও মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করে ও বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কয়েক মাস আগে সোহেলের বউ আসমা আমার সাথে রিকশায় উঠেছিল। তা দেখার পর থেকে আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলো সোহেল।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এমন সংবাদ পেয়ে থানার এসআই মো: সাইফুল ইসলামের সহযোগিতায় বাদলকে উদ্ধার করে বরগুনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থা খুব খারাপ।
সোহেলের শ্বশুর দুলাল খান বলেন, ‘প্রায় আট থেকে ৯ বছর আগে উত্তর গাবুয়া গ্রামের খলিল হাওলাদারের ছেলে মো: সোহেল হাওলাদারের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। ভালো কাটছিল ওদের সংসার। সাত বছরের একটি ছেলেও আছে। কিন্তু মাস ছয় আগে আমার জামাইয়ের চাচতো ভাই মজিদ হাওলাদারের ছেলে মো: বাদল আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিছু দিন আগে আমার বাবা মারা যাওয়ায় আমার মেয়ে আমাদের বাড়িতে আসে। পরে ওকে বুঝিয়ে জামাইয়ের সাথে সংসার করার জন্য বলি। শুক্রবার বাবার নামে দোয়া অনুষ্ঠান ছিল। জামাই সোহেলও আসে আমাদের বাড়িতে। ওই সময় বাদল আমার মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকায় আসে। তারপর সোহেল ও বাদলের মাঝে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থল থেকে বাদলকে উদ্ধার করে বরগুনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা