মুলাদীতে নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে ব্রজোমহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী (বরিশাল)
- ২২ আগস্ট ২০২০, ১০:৪৭
বরিশালের মুলাদী সফিপুর ইউনিয়নের জয়ন্তী নদীতে বন্যার ও জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে সফিপুর ইউনিয়নের ব্রজোমহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সফিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
১৯৪২ সালে সফিপুর ইউনিয়নের ২১নং ব্রজমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। বিদ্যাপীঠটি যেকোনো সময় হারিয়ে যাবে নদীগর্ভে। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে সাবেক যুগ্ম সচিব এবং বঙ্গবন্ধুর দাফনকারী মরহুম আ: কাদেরের কবরটি।
২০১৯ সালে মাননীয় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক ও সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি রক্ষার জন্য ৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু নদীর ব্যাপক ভাঙনে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হতে মাত্র কয়েক গজ বাকি। যে বিদ্যালয় দুটিতে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় প্রতিদিন মুখরিত থাকতো আজ সে বিদ্যালয়টি চলে যাবে নদীগর্ভে! তাই হতাশায় ভুগছে ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবকবৃন্দ।
সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মুসা হিমু মুন্সী বলেন, মুলাদী উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল এলাকা সফিপুর ইউনিয়ন। এ এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে জয়ন্তী নদী। এ নদী ভাঙনে অসহায়ভাবে জীবন যাপন করছেন কয়েক হাজার পরিবার। কয়েক হাজার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদর স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা