২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রবল বৃষ্টি ও আমবস্যায় জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রবল বৃষ্টি ও আমবস্যায় জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত - ছবি : নয়া দিগন্ত

বৈরী আবহাওয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও আমবস্যার জোয়ারের পানিতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিন দিকে নদী ও একদিকে সাগর বেষ্টিত এ উপজেলা থেকে নৌ-পথে জেলা শহরে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম স্পিড বোট ঘাট সড়কটি ডুবে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিন টানা বৃষ্টিপাত ও অমাবস্যার কারণে জোয়ারের পানি আগুনমুখা'য় স্বাভাবিকের তুলনায় ২.৫ থেকে ৩ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে উপকূলীয় অঞ্চল চর-ইমারশন, চর-নজির, চর-আন্ডা প্লাবিত হয়।

চর-ইমারশন গ্রামের রফিক প্যাদা বলেন, ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে আগুনমুখা নদী সংলগ্ন চরগুলো তলিয়ে গেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

চর-নজির গ্রামের মোসলেম উদ্দিন বলেন, এখানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পেলে আমরা ডুবে যাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে এর প্রতিকার চাই ।

চর-আন্ডা গ্রামের রশিদ মিয়া বলেন, এখানে সাইক্লোন শেল্টার নেই। বেড়িবাঁধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে তাদের মৎস্য ঘেরে পানি উঠা নামার সুবিধার্থে কালভার্ট নির্মাণ করে ব্যবহার করছে। বন্যার আশঙ্কা হলে আমাদের জীবন বাজি রেখে জীবন যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়।

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, টানা বর্ষণ ও আমবস্যায় স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে কোনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement