ঝাড়-ফুঁকের অজুহাতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
- গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা ও কামাল খান, বেতাগী
- ০১ জুন ২০২০, ১০:৩৪, আপডেট: ০১ জুন ২০২০, ১০:৩৫

বরগুনার বেতাগী উপজেলায় ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়ার অজুহাতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি বেতাগী উপজেলার চিবিচিনি ইউনিয়নের দেশান্তরকাঠী গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র শীলের ছেলে লক্ষীচন্দ্র শীল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে একই গ্রামের এক কিশোরীকে ঝাড়-ফুঁক দিয়ে চিকিৎসার অজুহাতে বাড়ির পেছনের কক্ষে নিয়ে যান লক্ষীচন্দ্র। এতে সামনের কক্ষে থাকা কিশোরীর মায়ের সন্দেহ হয়। কিছুক্ষণ পর তিনি পেছনের কক্ষে গিয়ে দেখেন তার মেয়েকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করছেন লক্ষীচন্দ্র। এ সময় কিশোরী ও তার মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে লক্ষীচন্দ্র শীল পালিয়ে যায়।
এ ঘটনা জানাজানির পরপরই লক্ষীচন্দ্রের ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবি চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়ে কোথাও কোনো অভিযোগ দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওয়াব হোসেন নয়ন খান বলেন, ঘটনার পরে ইউপি সদস্য ছত্তার মল্লিক, রিয়াজ হোসেন, আলমগীর হোসেন ও বেতাগী থানার এসআই আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। বিচারের জন্য বৈঠকে বসলেও লক্ষীচন্দ্র শীল ও তার ভাই রবিচন্দ্র শীল সেখানে না আসায় বিচার করা সম্ভব হয়নি। এখন থানা আছে, পুলিশই বিচার করবে।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, গতকাল রোববার ভুক্তভোগীর বাবা ও মা থানায় এসেছিল লিখিত অভিযোগ নিয়ে। অভিযোগপত্রটি কাঁটাছেড়া থাকায় কম্পোজ করে জমা দেবেন বলেছেন। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা