০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, empty
`

বেতাগীতে আঊশ ও ইরি ধান রোপণে শ্রমিক সঙ্কট

বেতাগীতে আঊশ ও ইরি ধান রোপণে শ্রমিক সঙ্কট - ছবি : নয়া দিগন্ত

বরগুনার বেতাগীতে শ্রমিক সঙ্কটে আঊশ ও ইরি ধান বীজ রোপণ করতে পারছে না চাষিরা। বরগুনা, তালতলী, পাথরঘাটা ও পটুয়াখালীর কয়কটি গ্রাম থেকে অনেক দিন মজুর  ধান বীজ রোপনের জন্য আসতো। করোনার ভয়, গণপরিবহন বন্ধ, লকডাউনসহ নানা কারণে শ্রমিকরা না আসায় চাষিরা বিপাকে পড়েছেন।

কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আঊশ ধানের বীজ রোপনের উপযুক্ত সময়। বীজ রোপণের ক্ষেত তৈরি করে রোপণের সঙ্কটে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক। সঠিক সময়ে আবার না করতে পারলে লোকসান গুনতে হবে উপজেলা ২৬ হাজার ৬৮২ জন কৃষককে।

বেতাগী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এ উপজেলায় আউশ ও ইরি ধান আবাদ হবে প্রায় ৯৩০০ হেক্টর জমিতে। স্থানীয় আউশ ৩০০ হেক্টর এবং উফশী জাতের আউশ ৯ হাজার হেক্টর জমিতে।

বেতাগী সদর ইউনিয়নের খোন্তাকাটা গ্রামের কৃষক মো: শাহজাহান হাওলাদার বলেন, ‘৪০০ শতাংশ জমিতে আঊশ আবাদ করার জন্য বীজ রোপণের জন্য তৈরি করেছি। এখন শ্রমিক পাচ্ছি না। সঠিক সময়ে রোপণ করতে না পারলে ব্যাপক লোকসান হবে।’

একই গ্রামে কৃষক মো: আলম বলেন, ‘করোনার কারণে বরগুনা, তালতলী, পাথরঘাটা ও পটুয়াখালীর কিছু গ্রাম থেকে দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক না আসায় বিপাকে পড়েছি।'

কেওড়াবুনিয়া গ্রামের কৃষক মো: জাকির সিকদার বলেন, ‘শ্রমিক সঙ্কট ও বেতাগী খালের কালভার্ট বন্ধ রাখায় সঠিক সময় পানি উঠায়নি। এতে ৮/১০ গ্রামের জমি অনাবাদী থাকার সম্ভাবনা আছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: ইকবাল হোসেন বলেন, ‘করোনা পরবর্তী খাদ্য সঙ্কট কমাতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। কোথাও থেকে শ্রমিক এ উপজেলায় আসতে চাইলে তাদের সবরকমের সহায়তা করা হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement