আমতলীতে মুগডালের বাম্পার ফলন, বিপণন ব্যবস্থার অভাবে লোকসানের আশঙ্কা
- আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ০২ মে ২০২০, ১৫:০৬
বরগুনার আমতলীতে এ বছর মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। মহামারি করোনাভাইরাসে ক্রেতা সংকট ও বিপণনের জন্য ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারণে চাষীদের লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমতলী উপজেলায় ৯ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বাম্পার ফলন হওয়ায় এ লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি অফিস। এখন উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা তাদের ক্ষেতে ডাল তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাজারেও ডালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দামও মোটামুটি ভালো কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ও ডাল বিপণনে যোগাগোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় চাষীদের সমস্যা হচ্ছে। আবার ক্রেতা সংকটের কারণে অনেক চাষী তাদের উৎপাদিত ডাল বিক্রি করতে পারছে না। তাই চাষীরা ডাল নিয়ে আছেন মহাটেনশনে। তারা সরকারের কাছে ডাল বিপণনের জন্য ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সংরক্ষণের দাবি জানান।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছুড়িকাটা গ্রামের চাষী আ: ছালাম প্যাদা জানান, তিনি দুই একর জমিতে মুগডাল চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। কিন্তু ক্রেতার অভাবে তার উৎপাদিত ডাল বিক্রি করতে পারছেন না।
অপর এক চাষী কুকুয়া গ্রামের মেজবাউদ্দিন মোল্লা বলেন, আমি চার একর জমিতে মুগডালের চাষ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে। করোনার কারণে বিপণনের জন্য ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বিক্রির জন্য বাজারে নিতে পারছি না। এজন্য চাষীদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে সরকারের কাছে ডাল সংরক্ষণের দাবি জানাই।
উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম মোবাইল ফোনে বলেন, এ বছর মুগ ডালের বাম্পার ফলন ও লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে। মহামারি করোনাভাইরাসে বিপণনের জন্য ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকা ও ক্রেতা সংকটের কারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ডাল বিক্রি করতে পারছেন না। তিনি আরো বলেন, ডাল সংরক্ষণের ভালো ব্যবস্থা থাকলে কৃষকরা উপকৃত হতো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা