বরিশালে পুরনো সিলেবাসে হলো এসএসসি পরীক্ষা!
- বরিশাল ব্যুরো
- ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:২৮, আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৪৭
বরিশালের হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০১৮ সালের সিলেবাসে এসএসসির বাংলা প্রথমপত্রের (বহুনির্বাচনী অভীক্ষা) নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে এতে অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জগদীশ সরস্বতী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মে: শাহ আলম বলেন, ওই কেন্দ্রে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর ২০১৯-২০ সালের সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পরে তাদের পাঠক্রমের সঙ্গে প্রশ্নের কোনো মিল পাইনি। পরে জানা যায় এসব শিক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের সিলেবাসে করা প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলেও পরীক্ষা শেষে এর কোনো সুরাহা হয়নি। এছাড়া ওই প্রশ্নের খাতায়ও কোনো উত্তর দিতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীরা জানায়, দু’টি কক্ষের বেশকিছু শিক্ষার্থী বাংলা প্রথমপত্রের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে পরীক্ষা শেষে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনাকালে বিষয়টি নজরে আসে। বিষয়টি তারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। মূলত ২০২০ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা প্রশ্ন হওয়ার কথা। পরীক্ষা শেষে বিষয়টি নজরে আসায় কান্নায় ভেঙে পড়ে তারা।
তারা আরও জানায়, এসএসসির নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা ৩০ মিনিটের ও ৩০ মার্কসের। এ পরীক্ষা প্রথমেই দিতে হয়। তাদের সুযোগ ছিল না হলে বসে সিলেবাস যে ২০১৮ সালের ছিল তা দেখার। এ ভুল যারা প্রশ্ন বন্টন করেছে তাদের। এজন্য তারা পরীক্ষায় সঠিক উত্তর দিতে পারেনি বলে চিন্তিত।
অভিভাবকরা জানান, এ অবস্থায় পরীক্ষার মূল্যায়ন হলে যেসব শিক্ষার্থী ২০১৮ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ঘটনার সমাধান না হলে স্কুলের ভালো শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয় হবে। এছাড়া উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হবে।
তবে কেন্দ্র সচিব ও হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফকরুজ্জামান জানান, অর্ধশতাধিক নয়, ১৭ জন পরীক্ষার্থীর এ সমস্যা হতে পারে। কারণ বোর্ড থেকে অনিয়মিত অর্থাৎ ২০১৮ সালের সিলেবাসের ২০টি প্রশ্ন মাত্র একটি খামে এ কেন্দ্রে এসেছে। আর এ কেন্দ্রে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী রয়েছে তিনজন, বাকী থাকা ১৭টি প্রশ্ন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এজন্য কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা দায়ী। তবে বোর্ড চেয়ারম্যানকে তাৎক্ষণিক জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি জানার পর কেন্দ্রে আসেন এবং পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: ইউনুস বলেন, কেন্দ্রে প্রশ্ন বিতরণের দায়িত্ব থাকা শিক্ষক ও পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা এজন্য দায়ী। মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ শিক্ষার্থীদের বিষয়টি আলাদাভাবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা