আমতলীতে সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ফের গাড়িতে গণডাকাতি
- আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ২২ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৭
বগুড়ার আমতলীতে এক মাসের মাথায় ফের সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক আটকে পিকনিকের গাড়ি, দুটি পিকআপ ও বিয়ের যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসসহ তিনটি মাইক্রোবাসে গণডাকাতি হয়।
ডাকাতদল অস্ত্র দিয়ে লোকজনকে মারধর করে সর্বস্ব নিয়ে গেছে। ডাকাতের অতর্কিত হামলায় নারীসহ অনেক লোকজন আহত হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ডাকাতের হামলায় মাইক্রোবাস চালক বিধান চন্দ্র বিশ্বাসকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত স্থানে মুখে গামছা পেচানো ১৫/১৬ জনের একটি ডাকাত দল গাছের গুড়ি ফেলে রাখে। পরে আমতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি মাইক্রোবাস ও একটি মুরগীর বাচ্চার পিকআপ আটকে দেয়। ওই মাইক্রো চালক বিধান চন্দ্র বিশ্বাসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ১০ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট এবং মুরগীর বাচ্চার পিকআপের চালকে মারধরে করে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এর পরপর পটুয়াখালীর দিক থেকে আসা পিকনিকের পরিবহন বাস গাড়ি, একটি মাইক্রোবাস গাড়িতে বিয়ের যাত্রীসহ তিনটি মাইক্রোবাসে ডাকাতদল হামলা চালায়। তারা ওই গাড়ির লোকজনকে মারধর করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে বলে জানান ডাকাতের হামলার শিকার বিধান বিশ্বাস।
ডাকাত দলের মারধরে লোকজনের ডাকচিৎকারে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ডাকাত দল প্রায় পৌণে এক ঘন্টা তান্ডব চালায় বলে জানান বিধান বিশ্বাস। তিনি জানান, ডাকাতের হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছে।
ডাকাতির খবর পেয়ে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের মহিষকাটা এলাকা থেকে দ্রুত টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল সড়কের দুই পাশে ধানখেত দিয়ে পালিয়ে গেলে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পুলিশ এসে গাছের গুড়ি সরিয়ে দিলে সড়ক স্বাভাবিক হয়।
এ ডাকাতির ঘটনার এক মাস আগে গত ২০ অক্টোবর রাতে একই স্থানে একইভাবে ১১টি গাড়িতে গণডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ডাকাতির ঘটনায় নারীসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
একের পর এক চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমতলীর আইন শৃংখলার মারাত্মক অবনতি হয়েছে বলে জানান সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, গভীর রাতে সড়কে ডাকচিৎকারের শব্দ শুনে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই, কিন্তু ভয়ে নামিনি। তারা আরো বলেন, গাড়ির মধ্যে অনেক লোকের কান্নাকাটির শব্দ শুনেছি।
হামলার শিকার মাইক্রো চালক বিধান বিশ্বাস আরো বলেন, ডাকাতদের হাতে পিস্তল, চাপাতি, ছুরি, রামদা ও বগি ছিল।
বরগুনা জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী সার্কেল) সৈয়দ রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনার রাতেই আমি পেট্রোল ডিউটিতে শাখারিয়া নামক স্থানে ছিলাম। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে এসেছি। তিনি আরো বলেন, দুয়েকটি গাড়িতে ডাকাত দল হামলা করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।