১১ মাস ব্যবসা করলেও রমজানে ফ্রি সেহেরী খাওয়ান এই হোটেল মালিক
- এস এম শামীম, আগৈলঝাড়া (বরিশাল)
- ০৩ জুন ২০১৯, ১২:১১, আপডেট: ০৩ জুন ২০১৯, ১২:৩১
রাত্রিকালীন দূরপাল্লার রোজাদার যাত্রীদের বিনামূল্যে সেহরী খাইয়ে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মাতবর হোটেল। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী পরিবহন বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে অবস্থিত মাতবর হোটেলে রোজা শুরুর দিন থেকে প্রতিদিন কয়েক’শ রোজাদার যাত্রীর ভোর রাতে সেহরী খাবার পরিবেশন করে আসছেন হোটেলের মালিক আবদুর রশিদ।
ঢাকা থেকে বরিশাল, কুয়াকাটাসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে যাতায়াতকারী রোজাদার যাত্রীরা ভোর রাতে মাতবর হোটেলে বিনামূল্যে সেহরী খাবার সুযোগ পাচ্ছেন। যাত্রীদের সেহরী খাবারের এই ব্যবস্থা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণাঞ্চলগামী পরিবহন চালক ও যাত্রীদের জন্য এক নতুন চমক সৃস্টি হয়েছে।
হোটেলের মালিক আবদুর রশিদ জানান, মহানগরী ঢাকা, যশোর-খুলনা-বেনাপোলসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোর জন্য ছেড়ে আসা পরিবহনের রোজাদার যাত্রীরা তার এই হোটেলে বিনা মূল্যে সেহরী খাবার সুযোগ পাচ্ছেন। অধিকাংশ পরিবহন গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে আসার মধ্যেই সেহরী খাবার সময় হয়। সেহরীর পাঁচ দশ মিনিট সময় বাকী থাকলেও পরিবহন চালকেরা বিষয়টি জেনে এই হোটেলের সামনেই গাড়ি দাড় করান। চালক ও রোজাদার যাত্রীরা নেমে হোটেলে খাওয়া দাওয়া করেন নিজেদের ইচ্ছামত মাছ, মাংস, সবজিসহ হোটেলের রান্না করা তাজা সকল আয়োজনের খাবারে।
খাবার পরে বিল পরিশোধ করতে গিয়ে হোটেল মালিক আবদুর রশিদ তাদের জানিয়ে দেন যে, সেহরীর খাবার জন্য কারো কাছ থেকে কোন টাকা নিবেন না। যাত্রীরা খাবারের দাম না নেয়ার কারণ জানতে চাইল তার সাফ উত্তর, বছরের ১১ মাস যাত্রীদের নিয়ে তার ব্যবসা। রমজানের এক মাস সেই সকল যাত্রীদের কথা চিন্তা করে মানবতার জন্য পুরো রমজান মাস তিনি বিনামূল্যে যাত্রীদের সেহরী খাবারের আয়োজন করেছেন।
যাত্রীরা জানান, হোটেল মালিক খাবারের বিল তো নেয়ইনি; উপরন্তু তাদের সাথে মালিক ও কর্মচারীদের ব্যবহার ছিল খুবই আন্তরিক। রোজাদারদের বিনামূল্যে সেহরী খাইয়ে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মাতবর হোটেল মালিক আবদুর রশিদ। এজন্য তিনি রোজাদারসহ স্থানীয়দের প্রশংসাও পাচ্ছেন সর্বত্র।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা