জামায়াতের প্রার্থী হচ্ছেন আল্লামা সাঈদীর দুই ছেলে
- ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা
- ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:৩৭, আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:৪১
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19690723_170.jpg)
পিরোজপুরের দুটি সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন দলটির সাবেক নায়েবে আমির ও পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলে মাসুদ সাঈদী ও শামীম সাঈদী। পিরোজপুর-১ আসন (ইন্দুরকানী-পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর) থেকে প্রার্থী হচ্ছেন আল্লামা সাঈদীর সেজো ছেলে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী এবং পিরোজপুর-২ আসন (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) থেকে প্রার্থী হচ্ছেন আল্লামা সাঈদীর মেজো ছেলে শামীম সাঈদী।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভান্ডারিয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক মতবিনিমিয় সভায় পিরোজপুর জেলার তিনটি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পিরোজপুর-২ আসনে (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) থেকে প্রার্থী করা হয়েছে আল্লামা সাঈদীর মেজো ছেলে শামীম সাঈদীকে। এর আগে পিরোজপুর-১ আসনে (ইন্দুরকানী-পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর) মাসুদ সাঈদীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। বিশ্বনন্দিত মুফাসসির আল্লামা সাঈদী পিরোজপুরসহ সারা পৃথিবীতে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। পিরোজপুরে তার পরিবারের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে দলটি তার দুই ছেলেকে পিরোজপুরের দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
বিগত চার দলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পিরোজপুর-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ২০০১ সালে জোট ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তিনি পিরোজপুরে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। সততার দৃষ্টান্ত হিসাবে তার পরিবারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালবাসা রয়েছে। তার ছেলে মাসুদ সাঈদী পাঁচ বছর ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালেও সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করেছেন। তিনিও বাবার মতো সৎ এবং আদর্শের অনুসারী হিসাবে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করেছেন।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর মাসুদ সাঈদী পিরোজপুর-১ আসনের বিভিন্ন এলাকা একাধিকবার সফর করেছেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরে দৌঁড়ঝাপও করছেন। সম্প্রতি শামীম সাঈদীও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সফর করেছেন।
পিরোজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জাল হোসাইন ফরিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পিরোজপুর-১ আসনে (ইন্দুরকানী-পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর) মাসুদ সাঈদীকে এবং পিরোজপুর-২ আসনে (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) শামীম সাঈদীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।’
প্রার্থীতার বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ সাঈদী বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাদের দুই ভাইকে পিরোজপুরের দুটি আসনে প্রার্থী মনোনীত করে আমাদের ওপর যে মহান দায়িত্ব অর্পণ করেছে তা আমানদারীতার সাথে পালন করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর দয়া আর জনগণের ভালোবাসা নিয়েই আমরা আমাদের পথ চলবো। আমাদের সম্মানিত বাবা শহীদ আল্লামা সাঈদী যেভাবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সেবা করে গেছেন আমরাও তেমনি বাবার মতো জনগণের পাশে থেকে তাদের সেবা করতে চাই। পিরোজপুরকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করে একটি উন্নত বাসযোগ্য নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪-এর বৈষম্যহীন সুখী সমৃদ্ধশালী একটি রাষ্ট্র গড়ার চেতনায় আমরা তরুণদের সাথে নিয়ে কাজ করব। স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের জন্য তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তোলাই হবে আমাদের লক্ষ্য।
মাসুদ সাঈদী আরো বলেন, এই পিরোজপুরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তা ব্রিজ, কালভার্টসহ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড যা কিছু দৃশ্যমান তার ৯০ ভাগই আমার বাবা শহীদ আল্লামা সাঈদীর হাতে গড়া। তার পরে এই আসনে অনেকেই সংসদ সদস্য ছিলেন। কিন্তু এই এলাকার মানুষ স্বাক্ষী এই এলাকার উন্নয়নে তারা কোনো কাজ করেনি। সবচেয়ে বড়কথা সাধারণ মানুষ তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি। আমরা এই জায়গাটিতে পরিবর্তন আনতে চাই। আমরা নির্বাচিত হলে সর্বস্তরের মানুষের কথা শোনার জন্য প্রস্তত থাকবো, সুখে-দুঃখে সবসময় তাদের পাশেই থাকবো। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা