গৌরনদীতে শিশু সাফওয়ান হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
- আরিফিন রিয়াদ, গৌরনদী (বরিশাল)
- ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:২৬
বরিশালের গৌরনদীতে বহুল আলোচিত পাঁচ বছরের শিশু সাফওয়ান হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সর্বস্তরের জনতা ও ছাত্র সমাজের ব্যানারে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
বিক্ষুব্ধরা শিশু সাফওয়ানকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিসহ জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তারা সাফওয়ানের হত্যার মূল কারণ এখনও উদ্ঘাটন করতে না পাড়ায় পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মিডিয়ার মাধ্যমে হত্যার প্রকৃত ঘটনা উপস্থাপন করার জন্য মানববন্ধন থেকে দাবি জানানো হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, মামলার এজাহারভূক্ত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের ইমরান শিকদারের পাঁচ বছরের শিশু পুত্র সাফওয়ান শিকদার গত ১৫ জানুয়ারি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। পরের দিন ভোরে স্থানীয় মান্না বেপারীর বিল্ডিংয়ের পিছনের একটি পরিত্যাক্ত ডোবায় সাফওয়ানের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশু সাফওয়ানের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ওইদিনই স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন ও রোমান চৌধুরী নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে। পরে শিশু সাফওয়ানের বাবা বাদি হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৯-১০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লিখিত দুইজনসহ এজাহারভূক্ত আসামি রোমানের স্ত্রী আখি বেগম ও বোন রাবিনা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপরদিকে গত ১৭ জানুয়ারি বিকেলে নিহত শিশুর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে হাসপাতাল মর্গ থেকে এলাকায় নিয়ে আসলে উত্তেজিত জনতা গ্রেফতারকৃত আসামিদের দু’টি দালান ও তিনটি টিনের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। গ্রেফতার ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মাদক কারবারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতার অপর আসামি রোমান চৌধুরীর ঘরে নিহত সাফওয়ানের জুতাসহ কাপড় পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
সূত্রমতে, নিহত শিশুর দাদা বারেক শিকদারের সাথে জমাজমি নিয়ে প্রতিবেশী লোকমান চৌধুরীর দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ওই বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা