আমতলীতে ১৬টি দোকান পুড়ে ছাই
- আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৮
আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী বাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে ১৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। সোমবার (২১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার খেকুয়ানী বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, উপজেলার খেকুয়ানী বাজারে সোমবার গভীর রাতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে আমতলী দমকল বাহিনী ও স্থানীয়রা দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখায় জামাল বেপারী, নুর আলম , শাহিন , রুস্তম মৃধার চারটি মুদি-মনোহারী দোকান, ইমরান সরদারের ফার্মেসি, পরিমল চন্দ্র শীলের সেলুন, মনির তালুকদারের গোডাউন, দু’টি খালি ঘর ও চা দোকানসহ মোট ১৬টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে অন্তত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বেলাল তালুকদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, দোকানের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ডাক-চিৎকার শুনে দোকান থেকে বের হই। ক্যাশ বক্সে থাকা এক লাখ টাকাও রক্ষা করতে পারিনি। আমার দোকানের অন্তত ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ক্ষতি পূরণ হবার নয়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে যাওয়ায় পথে বসতে হবে।
নরসুন্দর ব্যবসায়ী পরিমল চন্দ্র শীল বলেন, দোকানে বিভিন্ন আসবাবপত্র, কাঠসহ সেলুনের প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, বাজারের ১৬টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পূরণ দেয়ার চেষ্টা করব বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আমতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়ারিং ইন্সপেক্টর হানিফ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে পুরো বাজারের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে যেত।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তা করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা