১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ মাঘ ১৪৩১, ১৭ রজব ১৪৪৬
`

নিহত শিশু সাফওয়ানের জানাজায় মানুষের ঢল

নিহত শিশু সাফওয়ান (বাঁয়ে)। তার নামাজে জানাজা (ডানে)। - ছবি : নয়া দিগন্ত।

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মধ্য হোসনাবাদ গ্রামে নিহত পাঁচ বছরের শিশু সাফওয়ানের নামাজে জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছে। আজ শুক্রবার বাদ আছর নিজ বাড়ির পাশের মসজিদের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ঘর থেকে খেলা করতে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় সাফওয়ান। পর দিন বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

শিশু সাফওয়ান গৌরনদীর সরিকল ইউনিয়ানের মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের ইমরান শিকদারের ছেলে ও বারেক ডাক্তারের নাতি।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হোসনাবাদ গ্রামের বারেক ডাক্তার ও লোকমান চৌকিদারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বারেক ডাক্তারের ছেলে ইমরান কাজের সুবাদে তার ছেলে সাফওয়ানকে নিয়ে ঢাকা থাকতেন। দাদার বাড়িতে বেড়াতে এসে গত ১৫ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় শিশুদের সাথে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সাফওয়ান। পরবর্তীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন দাদা বারেক শিকদার।

স্থানীয় লোকজন সবার ঘর তল্লাশি করে শিশু সাফওয়ানকে খোঁজার জন্য। পাশের বাড়ি রুমান চৌধুরীর ঘর তল্লাশি করতে দেয়নি ওই এলাকার ইউপি সদস্য মোজাম্মেল চৌধুরী । এ ঘটনায় পুলিশ পুলিশ তল্লাশি করে রুমান চৌধুরীর ঘর থেকে সাফওয়ানের জুতা ও রক্তমাখা চাকুসহ আরো অনেক কিছু পায়।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রুমান চৌধুরী ,ইউপি সদস্য মোজাম্মেল চৌধুরী ও রুমানের স্ত্রী আখি, বোন রাবিনাকে গ্রেফতার করেছে।

সাফওয়ানের দাদি শাহনাজ পারভীন বলেন, আমার নাতিকে রুমান চৌধুরী ও মাদক কারবারী ইউপি সদস্য মোজাম্মেল চৌধুরী হত্যা করেছে। তার সহযোগিতা করেছে রুমানের স্ত্রী ও তার বোন। আমি তাদের ফাঁসি চাই।

তিনি অভিযোগ করেন, সরিকল তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আজাদ হোসেন যদি আমার নাতিকে ইউপি সদস্য মোজাম্মেল চৌধুরী কথা না শুনে খোঁজাখুঁজি করলে বেঁচে যেত।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া বলেন, সাফওয়ান হত্যা মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযান অব্যাহত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement