শিশু হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত গৌরনদী, দুই আসামির ঘরে আগুন

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু সাফওয়ান হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ইউপি সদস্যসহ দুইজনের বসতঘরে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের রোষানলে পড়ে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

জানা গেছে, নিহত শিশুর ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বাদ আছর জানাজার পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও রোমান চৌধুরীর বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের বাধা দেয়।

এ দিকে সন্ধ্যায় হোসনাবাদ বাজারে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো: ইউনুস মিয়া বলেন, শিশু সাফওয়ান হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা ইমরান হোসাইন ছয়জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- রোমান চৌধুরী, তার বাবা লোকমান চৌধুরী, ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক চৌধুরী, রোমানের স্ত্রী আখি বেগম, বোন রাবিনা আক্তার ও শাহাদাত প্যাদা।

মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৯ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি আরো জানান, ওই মামলায় আটক চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার বিকেলে আদালতের কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় শিশুদের সাথে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের ইমরান সিকদারের পাঁচ বছরের ছেলে শিশু সাফওয়ান সিকদার। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে রাতেই গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সাফওয়ানের দাদা বারেক শিকদার।

বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় মান্না বেপারীর বিল্ডিংয়ের পেছনে রাস্রতার পাশে একটি পরিত্যাক্ত ডোবায় শিশু সাফওয়ানের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।

পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ওইদিন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের প্রতিবেশী রোমান চৌধুরী, ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক চৌধুরী, আখি বেগম ও রাবিনা বেগমকে আটক করে পুলিশ।