১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২ মাঘ ১৪৩১, ১৫ রজব ১৪৪৬
`

শরীয়তপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহত জালালের লাশ উত্তোলন

নিহত জালাল উদ্দিন - ছবি : নয়া দিগন্ত

শরীয়তপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জালাল উদ্দিনের লাশ আদালতের নির্দেশে দাফনের ছয় মাস পর উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে আদালতের নির্দেশে জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার আনন্দ বাজার গনকবরস্থান থেকে তার লাশ ‍উত্তোলন করা হয়।

এ সময় শরীয়তপুরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আছিফ হায়দার, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (এমওডিসি) ডা. মাসুম মিয়া, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাইয়ুম, সখিপুর থানা পুলিশ ও নিহত জালালের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত জালাল উদ্দিন শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের আনু সরকার কান্দি এলাকার মরহুম মোহসেন রাড়ীর ছেলে। জালাল উদ্দিন ব্যবসায়ীক কারণে ঢাকার মানিকনগরে থাকতেন। গত বছরের ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকার মানিকনগরের বাসা থেকে সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় বলে পারিবারিক সূত্র জানায়। পরে নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করে পরিবার ও স্থানীয়রা। এই ঘটনায় গত ২০ নভেম্বর নিহত জালালের স্ত্রী মলি ১২৯ জনকে আসামি করে মুগদা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক কাইয়ুম বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পুলিশ ও চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। এ কারণে জালালের লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করা যায়নি। ওই অবস্থাতেই তাকে দাফন করা হয়েছিল। মালার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে লাশটি উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আদালতের নির্দেশে জালালের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ওবায়েদুল হক বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে লাশটি ডাক্তার এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উত্তোলন করা হয়। এ সময় ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement