বাউফলে কলেজশিক্ষকের বসতঘর থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুট
- বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫৪
পূর্ব শত্রুতার জেরে বাউফলে ডাকাত সেজে এক শিক্ষকের ঘরে হানা নিয়ে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পশ্চিম মদনপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওই রাতেই এসআই মো: শাহীনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বাউফল থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই কলেজ শিক্ষকের নাম মো: ওবায়দুল কবির (৩১)। বরিশালের ঝালকাঠি এলাকায় একটি কলেজে শিক্ষকতা করেন তিনি।
শিক্ষক ওবায়দুল কবির জানান, ‘জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে মাসখানেক আগে একই বাড়ির প্রতিপক্ষের আ. লতিফের হাওলাদারের ছেলে ওয়াহিদুল (২৮) মোবাইলফোনে আমাকে হত্যার হুমকি দেন।’
এ ব্যাপারে গত ১০ ডিসেম্বর বরিশাল কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন তিনি। সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে এলে তাকে হত্যার উদ্দেশে রাতের আধারে ডাকাত সেজে প্রতিপক্ষের ১০-১২ জন ঘরের পেছনের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে লুটপাট চালায়।
কৌশলে নিজেকে বাঁচাতে পারলেও দুর্বৃত্তরা এ সময় আলমিরা ভেঙে নগদ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ও প্রায় চার ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার সময় পেছনে ধাওয়া করলে অস্ত্রের আঘাত থেকে নিজেকে বাঁচতে গিয়ে হাটুতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন আ. রহিম নামে এক যুবক।
একপর্যায়ে ডাকাত এসেছে বলে চিৎকার করলে লোকজন চলে এলে দ্রুত মোটরসাইকেলযোগে সটকে পরেন দুর্বৃত্তরা। তবে দুর্বৃত্তদের মধ্যে প্রতিপক্ষের ওয়াহিদুলকে চিনতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে পুলিশ ওয়াহিদুলের বাবা আ. লতিফ হাওলাদারকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক ওবায়দুল।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া বাউফল থানার এসআই মো: শাহীন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সংশিষ্টতা না থাকায় ওয়াহিদুলের বাবা আ. লতিফকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা