পাথরঘাটায় দুর্বৃত্তের হামলায় শিবিরের সভাপতিসহ আহত ২
- পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩০
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাফেজ মো: রাকিব হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো: রোহানের বাবা সুলতান আহমেদের ওপর দুর্বৃত্তের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় রাকিব হাসানের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে পাথরঘাটা পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহাত রাকিব পাথরঘাটে উপজেলা শিবিরের সভাপতি ও খাদ্য গুদামের পূর্ব পাশের বাদল শিকদারের ছেলে এবং সুলতান আহমেদ পাথরঘাটা পৌরসভা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রোহানের বাবা।
সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে বুধবার সকাল ১০টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্য গুদাম এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা হাসানের সাথে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সদস্য নাসির ওরফে কাটা নাসিরের সাথে বাগ্বিতন্ডা এবং মারধরের ঘটনা ঘটে। এর সূত্রধরে দুপুর দেড়টার দিকে কাটা নাসির তার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে নুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছালে ওত পেতে থাকা ছাত্রলীগের নেতা রাব্বি ও হাচান ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। পরে নাসির ওরফে কাটা নাসিরকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এর সাথে শিবিরের সম্পৃক্ততা থাকার সন্দেহে পাথরঘাটা উপজেলা শিবিরের সভাপতি হাফেজ রাকিব হাসানের বাসায় গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করেন এবং পৌর সাধারণ সম্পাদক রোহানের বাবা সুলতান আহমেদকে মারধর করেন।
সভাপতি রাকিব হাসান জানান, দুপুরের পর ঢাকা থেকে তিনি বাসায় এসে ছোট ভাগ্নের সাথে ছিলেন, এর কিছুক্ষণ পরে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু ছেলে এবং অপরিচিত কিছু ছেলেরা ঘরের মধ্যে ডুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় তার মাকেও চর-থাপ্পড় দেয়া হয়। এর পরে তারা কিছুই মনে নেই বলে জানান।
বরগুনা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো: শামীম আহসান জানান, আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে পাথরঘাটায় কাজ করে আসছি, আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। একটি কুচক্রী মহল আমাদের মধ্যে ডুকে বিরোধ সৃষ্টি করার পায়তারা চালাচ্ছে। পাথরঘাটায় একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে যে হত্যাকাণ্ডের সাথে জামায়াতে ইসলামী বা এর অঙ্গ সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি বলেন, জামায়েত ইসলামী এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, তারা শান্তিতে বিশ্বাসী। এই হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে সে যেই হোক না কেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি এবং যারা শিবিরের সভাপতি রাকিব হাসান এবং পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক রোহানের বাবা ওপর হামলা চালিয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি।