বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
- বরিশাল ব্যুরো ও উজিরপুর (বরিশাল) সংবাদদাতা
- ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১৬
বরিশালের বাবুগঞ্জ গ্রামীণ অবকাঠামো বাস্তবায়ন উন্নয়ন প্রকল্পে ২০২২-২০২৩ ও ২৪ অর্থ বছরে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। অনেকগুলো প্রকল্প কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে কাজ নেই। এ কারণে তথ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানায়, বাবুগঞ্জ উপজেলার ছঢটি ইউনিয়নে মধ্যে প্রায় ইউনিয়নে টিআর, কাবিখা-কাবিটাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় কোটি কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ আসে। এসব বরাদ্দ দিয়ে উপজেলার সবক’টি ইউনিয়নে রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কার ও নির্মাণকাজ বাস্তবায়িত হওয়ার কথা থাকলেও অনেক যায়গায় উন্নয়ন হয়নি।
ইউনিয়নগুলোতে ঘুরে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি সদস্য ও সিপিসি বলেন, সকল অনিয়ম হয় উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা ও কর্মচারির মাধ্যমে। তারা বলেন, প্রকল্পের কাজের মান মাঠ পর্যায়ে দেখভাল করেন উপজেলা প্রকল্প অফিসের কর্মকর্তারা। তারা টাকা পেলে সব অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে। কারণ মাঠপর্যায়ে পরিদর্শন করার দায়িত্ব তাদের বিগত দিনগুলোতে যেভাবে কাজ হয়েছে এবারও তাই হয়েছে। তারা বলেন, অফিস কর্মকর্তাদের কাজের ২৫/৩০ ভাগ টাকা দিতে হয়।
গত রোববার রহমতপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, রহমতপুর কৃষি গবেষণার পশ্চিম দক্ষিণ কোনা থেকে নুর মোহাম্মদ হাওলাদারে বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ ও রহমতপুর কৃষি গবেষণার পশ্চিম পাশ থেকে কৃষি কলেজগামী রাস্তার বাকী অংশের কাজ সমাপ্তকরণে ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও কোনা কাজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
এ কাজের সিপিসি নাইম রেজার কাছে কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে ২৫ ভাগ টাকা দিয়ে আসলে কি কাজ করব। তাকে প্রশ্ন করা হলে টাকা কে নেয়, তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখেন টাকা সবাই নেয়।
এছাড়া মাধবপাশা ইউনিয়নের বাদলা সাত্তার মেম্বারের বাড়ির উত্তর পাশ দিয়ে কাটাখালী সেতু পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়নের বরাদ্দ ছয় লাখ টাকা কাগজে-কলমে হলেও সর জমিনে কোন কাজ অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
এই কাজের সিপিসি জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করেন, মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পরিদর্শন করার দায়িত্ব থাকলেও বিগত দিনগুলোতে যেভাবে কাজ হয়েছে এবারও তাই হয়েছে। কাজ প্রতি ২৫/৩০ ভাগ টাকা দিতে হয়।
স্থানীয় জনগণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলের ভাষ্য ও তথ্য মতে, এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাগজে-কলমে দেখানো হলেও বেশিরভাগ প্রকল্পের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।
অভিযোগের ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের সাথে তার নিজ কক্ষে যোগাযোগ করলে, তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি প্রকল্পের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বরিশাল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, প্রকল্পের কাজে অনিয়মের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্তা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা