আমতলীতে কুকুরের কামড়ে ২৭ জন হাসপাতালে
- আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৪১
এক দিনে বরগুনার আমতলীতে ২৭ জন পথচারী কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে পটুয়াখালী ও বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আমতলী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাবিস ভ্যাকসিন না থাকায় রোগী ও তার স্বজনরা বিপাকে পড়েছেন।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) আমতলী পৌর শহরের পল্লবী, এ কে স্কুল এবং বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের পল্লবী, এ কে স্কুল ও বটতলা একালায় শুক্রবার সকালে পথচারীদের কুকুর কামড় দেয়। বেলা গড়াতে থাকলে কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। ওই দিন সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৭ জন পথচারীকে কুকুর কামড়ে আহত করেছে।
আহতরা হলেন মারিয়া, আবু রায়হান, সাফিন, সঙ্কর চন্দ্র মাতুর্ব্বর, জাহিদ, রাফি, মাসুদ, আব্দুল মালেক, আরাফাত, আব্দুল্লাহ, আজম, তমাল, জোহামনি, সীমাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে বরগুনা ও পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কুকুরে কামড়ে আহতের মধ্যে অধিকাংশ শিশু।
এ দিকে, আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাবিস ভ্যাকসিন না থাকায় রোগী ও তার স্বজনদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। স্বজনদের ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কিনে রোগীকে প্রয়োগ করতে হচ্ছে। অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পেয়ে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যেতে হয়েছে।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ‘হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় ফার্মেসি থেকে উচ্চমূল্যে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে।’
কুকুরের কামড়ে আহত সংঙ্কর চন্দ্র মাতুব্বর বলেন, ‘পৌর শহরের বটতলায় কুকুর আমাকে কামড়িয়ে আহত করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় ফার্মেসি থেকে এক হাজার পাঁচ শ’ টাকায় ভ্যাকসিন কিনে প্রয়োগ করেছি।’
আহত সীমা বলেন, ‘এ কে স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিলাম, পথিমধ্যে কুকুরে এসে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসি। কিন্তু হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পরে এক হাজার পাঁচ শ’ টাকায় ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন এনে নিয়েছি।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘সকালে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৭ জন কুকুরে কামড়ানো রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এরমধ্যে অনেক রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী ও বরগুনায় পাঠানো হয়েছে।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তেনমং বলেন, ‘হাসপাতালে র্যাবিস ভ্যাকসিন আছে কিনা আমার জানা নেই। আমি এখনো দায়িত্ব বুঝে পাইনি।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। পাগলা কুকুরের বিরুদ্ধে শিগগিরই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা