১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কাউখালীতে আলুর কেজি ৭০ টাকা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

পিরোজপুরের কাউখালীতে আলুর কেজি ৭০ টাকা, দিশেহারা সাধারণ মানুষ। ক্রয় ক্ষমতা বাইরে চলে গেছে।

শনিবার সরেজমিনে কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক দোকানে আলু পাওয়া যাচ্ছে না। আলুর দাম বৃদ্ধির কারণে হঠাৎ করে যেন আলু উধাও হয়ে যাচ্ছে। ফলে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। আলু এমন একটি তরকারি যা ধনী-গরিব সকল শ্রেণির মানুষের প্রিয় খাবার। আলু লাগে না এমন কোনো পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই আলু এখন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরা সকালে গরম ভাতের সাথে আলু ভর্তা খেয়ে স্কুলে যায়। এখন অনেকের পক্ষে আলু কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলার দক্ষিণ বাজারের আলুর আড়ংদার শাহিন হোসেন ও হাসান বলেন, ‘মোকামে আলুর দাম বেশি ও আমদানি কম। বেশি দামে কিনলে আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। আমরা তো আলু উৎপাদন করি না।’

খুচরা ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহেও আলু আমরা ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।’

দিনমজুর আব্দুল মোতালেব ও রিকশাচালক নাঈম হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের কথা কেউ চিন্তা করে না। আমাদের পক্ষে কী সম্ভব ৭০ টাকা দরে আলু কিনা? আমরা কোন দেশে বসবাস করছি।’

ক্রেতা মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দুঃখের কথা কাকে বলবো। এখন পর্যন্ত সিন্ডিকেট কেউ ভাঙতে পারেনি। সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারচুপির কারণে আলুসহ প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। অসহায় সাধারণ মানুষ।’

এদিকে শীতের পরশ পরলেও সবজির বাজারে এখনো সাধারণ ক্রেতাদের নাগালে বাইরে। প্রতি কেজি শিম ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা, পাতাকপি ৭০ টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, রেহা ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, প্রতি পিস লাউ প্রকারভেদে ৬০ থেকে ১৫০ টাকা, এক আটি মাঝারি ধরনের লাউ শাক ও লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, ‘বাজার মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে। আলু সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বেশি দামে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement