০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`

ভোলায় বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে ৪ জনের মৃত্যু

ভোলায় বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। - প্রতীকী ছবি

ভোলার চরফ্যাশনে বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৃথক চারটি দুর্ঘটনায় এ মৃত্যু হয়।

সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরে বাড়িতে ফজরের নামাজ শেষ করে রাস্তায় হাঁটতে বের হয়ে পানিতে ডুবে মো: ছিদ্দিক (৬৯) নামের এক বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি দুলারহাট থানা এলাকার আমিনাবাদ ইউনিয়নের ফরিদাবাদ গ্রামের মৃত মতলব মিয়ার ছেলে।

পরিবার জানিয়েছে, তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

একই সময় উপজেলাটির ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানিতে ডুবে তানজিম নামের দু’বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির বাবার নাম কালাম উদ্দিন আজাদ। বাড়ির উঠানে খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত শিশুটি পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়।

একইদিন বিকেল ৩টার দিকে এওয়াজপুর ও হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নে বজ্রপাতে মোশাররফ হোসেন লিটন ও শিহাব উদ্দিন নামের আরো দু’ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে লিটন পেশায় দলিল লেখক। তার বাড়ি এওয়াজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম এওয়াজপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো: মোফাজ্জল হোসেন নসু মিয়া। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে তিনি গোয়াল ঘরে গরুর জন্য ঘাস নিয়ে যান। এ সময় গোয়াল ঘরের পাশে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতের আঘাতে তিনি মারা যান।

অন্যদিকে শিহাব উদ্দিন হাজারিগঞ্জ ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যায়। বিকেলের দিকে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে তিনি নৌকা থেকে নেমে মাইনুদ্দিন মাছঘাট এলাকায় রওনা দেন। পথেই বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। তার বাবার নাম মো: রফিজল হক। তিনি চর ফকিরা গ্রামের বাসিন্দা।

সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, পৃথক এই চারটি মৃত্যুর বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার কার্যক্রম চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement