২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

বরিশালে ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় প্রস্তুত ৫৪১ আশ্রয়কেন্দ্র

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় বরিশাল জেলায় ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন।

জানা গেছে, আজ বিকেল পর্যন্ত অধিকাংশ ছিল ফাঁকা। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০০ করে মোট দু’লাখ ৭০ হাজার ৫০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। স্থানীয়দের দাবি, অতীতে আবহাওয়া অফিসের ঘোষণা করা সময়ে ঘূর্ণিঝড় না হওয়ায় দিনের পর দিন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করে দুর্ভোগে পড়েছিলেন। তবে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৩২ হাজার, রেড ক্রিসেন্টের ২০০ স্বেচ্ছাসেবকসহ সেনাবাহিনী।

এ দিকে, দানার প্রভাবে আজ ভোর থেকে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে নগরীর সদর রোড, অক্সফোর্ড মিশন রোড, পলাশপুর, রসুলপুর, মোহাম্মদপুর, কাউনিয়া, প্যারারা রোড, রূপাতলী হাউজিং, কলেজ অ্যাভিনিউ, বটতলা এলাকাসহ নিম্নাঞ্চলগুলোতে জলাবদ্ধতা হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।

হিজলা উপজেলার বাসিন্দা আবদুল জব্বার বলেন, ‘অতীতে আবহাওয়া অফিসের ঘোষিত সময় অনুযায়ী ঝড় হয়নি। তাই দিনের পর দিন গবাদী পশু, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করতে হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ হয়েছে। তাই দুর্ভোগ এড়াতে তিনি আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন না বলে জানান।’

জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘৫৪১ আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরেও ৭৯৮টি মাধ্যমিক, এক হাজার ৫৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণকাজ পরিচালনার জন্য ৫৬৯ মেট্রিক টন চালসহ ১২ লাখ ২৬ হাজার টাকা নগদ অর্থ, শিশু খাদ্যের জন্য পাঁচ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য পাঁচ লাখ টাকা মজুত রয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে।’

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় দানা এখন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। তবে এ ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের সমতলে আসার কোনো আশঙ্কা নেই।’

বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের কারণে বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে এক তলা বিশিষ্ট লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement