আ’লীগ মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছিল : হামিদুর রহমান আজাদ
- বরিশাল ব্যুরো
- ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:০০
আওয়ামী লীগ মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নগরীর একে স্কুলের হলরুমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বরিশাল মহানগরীর ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার ক্ষমতার শুরুই করেছে রক্তাক্ত হাত নিয়ে। ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিনের মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহের নামে এদেশের চৌকস মেধাবী দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে তারা শাসন শুরু করে। এই সেনা হত্যার মাধ্যমে তারা দেশের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা দুর্বল করে দিয়েছিল। অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে রাতের আঁধারে শাপলা চত্বরে নিরীহ আলেম উলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষের ওপর নির্মম গণহত্যা চালানো হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আল্লামা সাইদীর রায়ের পরে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশ র্যাব ও বিজিবি দিয়ে একদিনে দেড় শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে। শাহবাগে আন্দোলনের নামে চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষী ও নাস্তিকদের জড়ো করে স্বাধীনতার স্বপক্ষের ও বিপক্ষের নামে দেশবাসীকে বিভাজিত করা হয়েছিল।
রাজনৈতিক আন্দোলন সফল না হওয়ার ফলে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লব হয়েছে। দেশের সকল শ্রেণির মানুষ এ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য রাস্তায় নেমে আসে এটি কোনো একক দলের বা ব্যক্তির কৃতিত্ব নয়। নারী সমাজ এই আন্দোলনে তাদের শিশু সন্তান নিয়ে রাজপথে এসেছে, এমন গণআন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
তখনকার আন্দোলন বানচাল করার জন্য সম্পূর্ণ অবৈধ পন্থায় সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করছে, বৃহত্তর স্বার্থে আমরা শক্ত প্রতিবাদ করিনি আমাদের চাওয়া ছিল বিপ্লব সফল হোক। আল্লাহ যার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন তাদেরকে অপমানিত করার শক্তি কারো নেই, জামায়াত নিষিদ্ধ করে সরকার আমাদেরকে অপমানিত করতে চাইলেও জনগণ তাদের ভালোবাসায় জামায়াতকে সম্মানিত করেছে।
এই বিপ্লব সফল হবে যখন সকল জনগণের অংশগ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন দিলে এবং জামায়াত ইসলামী দেশের দায়িত্ব নিলে সকল ধরনের বৈষম্য দূর হবে, ইনশাআল্লাহ।’
মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মো: বাবরের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার মিজানুর রহমান, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা জয়নুল আবেদিন, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, আবু আব্দুল্লাহ, মাওলানা হাসান আতিক, তারিকুল ইসলাম, মাওলানা শফিউল্লাহ তালুকদার, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আমিন, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান অধ্যাপক আনোয়ার হোসাইন, অধ্যাপক সুলতানুল আরেফিন, মুজিবুর রহমান ও অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের শহিদ প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা