২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শরীরে ৪৮টি ছড়রা গুলি নিয়ে ১১ বছর ধরে চলছেন বিএনপি নেতা সিদ্দিক

শরীরে ৪৮টি ছড়রা গুলি নিয়ে ১১ বছর ধরে চলছেন বিএনপি নেতা সিদ্দিক - ছবি : নয়া দিগন্ত

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ১১ বছর ধরে ৪৮টি ছড়রা গুলি শরীরে নিয়ে চলছেন বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান।

সিদ্দিকুর রহমান পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর দক্ষিণ ইন্দুরকানী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং একই ওয়ার্ডের হাসেম খানের ছেলে।

২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে বিএনপি জামায়াতের একটি মিছিলে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তার গায়ে ১০২টি গুলি বিদ্ধ হয়। এরমধ্যে ৫৪টি গুলি অপসারণ করা গেলেও ডায়াবেটিস জটিলতার কারণে বাকি ৪৮টি গুলি তিনি ১১ বছর ধরে শরীরে বহন করে চলছেন।

সিদ্দিকুর রহমান জানান, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রাতে তার ফাঁসির প্রতিবাদে ইন্দুরকানীর গোডাউন এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি স্থানীয় ঘোষেরহাট বাজার অতিক্রমকালে আওয়ামী লীগ নেতা তোবারেক আলী হাওলাদারের নেতৃত্বে মিছিলের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। গুলিতে যুবদল নেতা শুকুর আলী মারা যায়। আহত হন তিনিসহ আরো আটজন। তাকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে পরে ঢাকার ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তিন মাস অবস্থান করে চিকিৎসা করান। সেখানে তার শরীর থেকে ৫৪টি ছড়রা গুলি বের করা হলেও থেকে যায় আরো ৪৮টি গুলি। ডায়াবেটিসের কারণে বাকি গুলিগুলো ক’দিন পরে উঠানোর কথা থাকলেও এখন ডায়াবেটিস বেশি থাকায় তার শরীর থেকে আর গুলি অপসারণ করা হয়নি।

সিদ্দিক আরো জানান, তার পেটে, দুই পায়ে এবং অণ্ডকোষে এখনো ৪৮টি ছড়রা গুলি রয়েছে। এ কারণে বেশি ভাত বা পানি খেলে তার পেটে ব্যথা করে। স্বাভাবিকভাবে হাটতেও কষ্ট হয়। তিনি এতদিন বিচার পাননি বরং উল্টো নয়টি মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাই এখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।

ইন্দুরকানী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর কবির মান্নু বলেন, বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান দলের একজন নিবেদিত কর্মী। সে অনেক নির্যাতিত। ২০১৩ সালে সে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। তার গায়ে এখনো ৪৮টি ছড়রা গুলি রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement