পিরোজপুরে হত্যার দেড় মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

থানায় পুলিশ কর্মরত না থাকায় একটি হত্যায় লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের দেড় মাস পর আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় কবর থেকে একজনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পিরোজপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মো: সাদিক আহম্মেদের এক আদেশে ভান্ডারিয়ার ভিটাবাড়িয়া থেকে মো: রফিকুল ইসলাম মিঠু ফকির নামের এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়।

এ সময় পিরোজপুরের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মো: তৌফিক আনোয়ার, ভান্ডারিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. কামাল হোসেন, ভান্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবুল বাশার, ভিটাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান খান এনামুল করিম পান্ন উপস্থিত ছিলেন।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ধারের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভান্ডারিয়ার ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো: মোশাররফ ফকিরের ছেলে মিঠু ফকিরসহ বাশার তালুকদার, মো: ছালাম তালুকদার ও হাসিব তালুকদারকে ৫ আগস্ট রাতে কুপিয়ে আহত করে ওই এলাকার জেলা পাড়ার ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল। গুরুতর অবস্থায় মিঠুকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ৬ আগস্ট রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়। থানায় পুলিশ ডিউটিতে না থাকায় ৭ আগস্ট বিকেলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয় বলে জানান তার বোন নাজমা বেগম।

নিহতের স্ত্রী মোসা: পলি আক্তার জানান, একই কারণে সেসময় থানায় মামলা করা সম্ভব হয়নি। পরে গত ১৬ আগস্ট তিনি বাদি হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় ১৫৪ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলাটি পিরোজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জিআর মামলা হিসেবে নথীভুক্ত হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মো: সাদিক আহম্মেদ মিঠুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিলে সোমবার লাশ উত্তোলন করা হয়।