তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি

আগামী ২১ অক্টোবর আপিল শুনানি হবে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। |ইন্টারনেট

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ। এর ফলে পুনরায় আপিল শুনবে আপিল বিভাগ। আগামী ২১ অক্টোবর আপিল শুনানি হবে।

আজ বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।

এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের আগস্টে হাইকোর্ট এ রিট খারিজ করে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেয়া হয়। ২০০৫ সালে আপিল করে রিটকারীরা।

পরে আপিল আবেদনটি মঞ্জুর করে ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।

ওই রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে সংশোধনী এনে ২০১১ সালের জুনে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়।

গত বছর ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন।

এছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন। এছাড়াও নওগাঁর এক ব্যক্তি আরেকটি আবেদন করেন।