যুক্তরাজ্য ১৫ অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এসব অভিবাসীর বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা) লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দর থেকে একটি চার্টাড ফ্লাইটে ১৫ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। আজ শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে তাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনসুলার শাখা জানায়, ফেরত আসা যাত্রীদের জন্য ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে কেউ বৈধ পাসপোর্টধারী, কারো পাসপোর্টের মেয়াদোত্তীর্ণ। ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে নারীও আছেন।
যাত্রী তালিকা অনুযায়ী, তারা মূলত সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ঢাকার বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। ট্রাভেল পারমিটের নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, ফেরত আসা ১৫ জনের মধ্যে অন্তত ছয়জনের কোনো পেশা উল্লেখ ছিল না। বাকিদের মধ্যে কেউ যুক্তরাজ্যে ওয়েটার হিসেবে কাজ করতেন, কেউবা ছিলেন শিক্ষার্থী।
যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষ অভিবাসন আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করছে এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে সমন্বয় করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, অনেক অভিবাসী ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করে থাকেন। যুক্তরাজ্য নিজস্ব আইন অনুযায়ী তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে, যা নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ।
এর আগে ২ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক নারীসহ ৩৯ বাংলাদেশীকে একটি বিশেষ সামরিক বিমানে (সি-১৭) দেশে ফেরত পাঠানো হয়।