শিমুলিয়ায় ৭৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার পোর্টের পরিকল্পনা

‘আমরা এখন পরিকল্পনা করছি। তবে এটি কবে হবে বলা মুশকিল। নির্ধারিত জায়গায় পোর্ট হবে, বাকি জায়গায় সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ও পরিবেশ উন্নত করার একটি পরিকল্পনা আছে।

গোলাম মঞ্জুরে মাওলা অপু, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ)

Location :

Louhajang
শিমুলিয়ায় ৭৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার পোর্টের পরিকল্পনা
শিমুলিয়ায় ৭৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার পোর্টের পরিকল্পনা |নয়া দিগন্ত

পদ্মা সেতুর পাশেই সেই পুরোনো শিমুলিয়া ঘাটকে আধুনিক মানের নৌ-বন্দর ও উন্নত পরিবেশ আনার জন্য নানা পরিকল্পনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

রোববার (২২জুন) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে শিমুলিয়ায় বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ড্রেজার বেইজ সম্মেলন কক্ষে এক উচ্চপর্যায়ের এ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অন্তবর্তী সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত পাঁচজন উপদেষ্টা। ফেরিঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব মালিকানাধীন জায়গায় ৭৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ইকো কনটেইনার পোর্ট নির্মাণ করতে চায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

এ সময় বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ড্রেজার বেইজ সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘শিমুলিয়া বন্দরকে আধুনিক ও সৌন্দর্য বর্ধনে কি কি উদ্যোগ নেয়া যায় সে সর্ম্পকে আলোচনা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার বন্দর নির্মাণে সরকারের অর্থায়নের পরিকল্পনাই বেশি। পর্যটন যেটা হবে, সেখানে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রাইভেট পাবলিক পার্টনার-শিপে যদি কেউ বিনিয়োগ করতে চান,করতে পারেন। নাহলে সরকারই পুরো ব্যয় নির্বাহ করবে।

নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এখন পরিকল্পনা করছি। তবে এটি কবে হবে বলা মুশকিল। নির্ধারিত জায়গায় পোর্ট হবে, বাকি জায়গায় সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ও পরিবেশ উন্নত করার একটি পরিকল্পনা আছে। সেটি বিআইডব্লিউটিএ’র সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসন বাস্তবায়ন করবে। স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন নিরাপত্তার জন্য সুন্দর ব্যবস্থাও করবে।

তিনি বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জের উন্নয়নের জন্য আমি মনে করি, এ এলাকায় যখন একটি পোর্ট হবে সেটি মুন্সীগঞ্জবাসীর জন্য একটি বড় যজ্ঞ হবে। শুধু পোর্ট নয়, এর বাইরেও সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এই কারণেই এখানে আসা। এ কারণেই এসব আলোচনা করেছি।’

এসময় উপদেষ্টাদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- নৌ-বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় জানানো হয়, মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটকে দেশের অন্যতম কার্যকর নৌ-বন্দরে রূপান্তরের অংশ হিসেবে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি প্রায় ২৯.৩১ একর জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হবে। এই ‘আইসিটি পোর্ট প্রকল্প’র প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা।