রংপুরে সিইসি

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন

কাউকে বিশৃংখলা সৃষ্টির সুযোগ দেয়া হবে না

‘আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই ডক্টর ইউনুস জাতির কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতিকে ড. ইউনুসের দেয়া ওয়াদার কারণে আমরাও খুব প্রেসারে পড়ে গেছি, সেই অনুযায়ী আমরা প্লান করছি।’

সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর ব্যুরো

Location :

Rangpur
গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন
গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা হতে দেয়া হবে না। ভোটের ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াই আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ।’

শনিবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের মিলনায়তনে বিভাগের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তার সাথে ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, ডিআইজি, আমিনুল ইসলাম, মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আল, ডিসি, মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, এসপি আবু সাঈম প্রমুখ।

নির্বাচনের পরিবেশ কেমন হবে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ইলেকশন নেক্সট ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে ইনআশাল্লাহ। ইলেকশনে বিশৃঙ্খলা তৈরির কোনো সুযোগ থাকবে না। কোনো বিশৃঙ্খলা হতে দেয়া হবে না।’

সিইসি বলেন, ‘কেউ একটা বোমা মারলো, ইলেকশন ক্যানসেল করে দেয়া হলো, এমন হবে না। প্রপার তদন্ত হবে। যদি দেখা যায় আসলে ক্যানসেল করার মতো। তাহলে না ক্যানসেল হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো সুযোগই এবার দেয়া হবে না। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক।’

সিইসি বলেন, ‘একটু সময় দেন। আমরা এসেস করতেছি। আমরা কাদেরকে কাজে লাগাবো। সময়ে আসলে দেখতে পাবেন। আমরা কাদেরকে কাজে লাগচ্ছি। কাদের মাধ্যমে ইলেকশনটা করার উদ্যোগ নিয়েছি। দেখবেন আপনারা। আমাদের একটা সুন্দর ক্রেডিবল গ্রহণযোগ্য ইলেকশন করার যা যা করা দরকার। আমরা তা তা করব।’

এর আগে তিনি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। এসময় সাংবাদিকদের সাথেও কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই ডক্টর ইউনুস জাতির কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতিকে ড. ইউনুসের দেয়া ওয়াদার কারণে আমরাও খুব প্রেসারে পড়ে গেছি, সেই অনুযায়ী আমরা প্লান করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভোটের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। গণঅভ্যুত্থান অথবা বিপ্লবের পর পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। তাই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবেলা করতে পারব।’

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করে দিতে পারে জনগণকে সেটা বিশ্বাস করানোটা আমাদের একটা বড় চ্যালেঞ্জ।’ পাশাপাশি নির্বাচনে এআই-ও (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) একটা চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না।’

এছাড়াও বিগত সময়ে যারা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে সংযুক্ত ছিল, তাদেরকে যথাসম্ভব বাদ দিয়ে নতুন লোক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করার কথাও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।