২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`

পাটের ফলন ও দাম কম হওয়ায় বিপাকে কৃষকরা

বিঘাপ্রতি ৭ হাজার টাকা লোকসান
চৌগাছায় পাট পরিষ্কার করছেন কৃষকরা : নয়া দিগন্ত -

পাটের ফলন ও দাম কম হওয়ায় বিপাকে যশোরের চৌগাছা উপজেলার কৃষকরা। সোনালি আঁশখ্যাত পাট চাষে বিঘাপ্রতি প্রায় সাত হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকের। সোনালি আঁশ এখন কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। দাম কমে যাওয়ায় পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। এ বছর অতিমাত্রায় খরাসহ নানা কারণে পাটের ফলনে বিপর্যয় ঘটেছে। এমতাবস্থায় পাটের সরকারি মূল্য নির্ধারণে দাবি এ অঞ্চলের পাট চাষিদের।
উপজেলার ফুলসারা, সিংহঝুলী, পাশাপোল, ধুলিয়ানী, চৌগাছা সদর, পাতিবিলাসহ সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, পাট জাগ দেয়া, পাটকাঠি থেকে আঁশ ছাড়ানো ও শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাট চাষিরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর দেড়শ’ হেক্টর কম জমিতে পাট চাষ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর তোষা জিআরও ৫২৪ ও রবি ৮ জাতের পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ১৮শ’ ২০ হেক্টর। সেখানে চাষ হয়েছে ১৭শ’ ৫ হেক্টর জমিতে। প্রকারভেদে বাজারে পাট প্রতি মণ দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান, এক বিঘা পাট চাষ করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকা। আর ফলন না হওয়ায় প্রতি বিঘায় ১০ মণের বেশি হচ্ছে না। এদিকে বাজারে পাটের দাম কম হওয়ায় তাদের বিঘাপ্রতি প্রায় সাত হাজার লোকসান হচ্ছে।
পাট ব্যবসায়ী আলী হোসেন জানান, প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কমানো ও পাটজাত পণ্যে ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশে পাট রফতানিতে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।
চৌগাছা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসাইন বলেন, পাট চাষে খরচ কমাতে ও ফলন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ কারিগরি বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে। সরকারিভাবে পাট ক্রয় শুরু হলে কৃষক তাদের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারবেন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement




up