১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

কুয়াকাটায় ভরা মৌসুমেও সাগরে ইলিশ মিলছে না

দেনায় জর্জরিত মৎস্যজীবীরা
সাগরে মিলছে না ইলিশ। অলস ট্রলারগুলো ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে : নয়া দিগন্ত -


পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বৃহৎ মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুরে ভরা মৌসুমে ইলিশের দেখা নেই। সমুদ্রগামী জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাক্সিক্ষত ইলিশ। এ বছর ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে মৌসুমের অধিকাংশ সময়ই ঘাটে বসে কর্মহীন সময় কেটেছে জেলেদের।
আবহাওয়া অনূকুলে আসার পর পরই সাগরে গিয়ে জাল ফেলেও ইলিশ পাচ্ছেন না জেলেরা। ফিরতে হচ্ছে অন্য মাছ নিয়ে। জেলেরা জানান, অন্য সাদা মাছের দেখা মিললেও সমুদ্র যাত্রার খরচ উঠাতে পারছেন না তারা। অভাব অনটন আর দুশ্চিন্তা সময় কাটচ্ছে তাদের জীবন। দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়ছেন বেশির ভাগ মৎস্যজীবী। মাঝেমধ্যে গভীর সাগরে মাছ শিকাররত কিছু ট্রলারে ইলিশের দেখা মিললেও তা পর্যাপ্ত নয়।
এদিকে দাম চড়া হওয়ায় মধ্যবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ইলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে ইলিশের দাম কমার কথা বললেও বাস্তবটা ভিন্ন। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা মন। ৭০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৭ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা মন। ছোট সাইজের ইলিশ (জাটকা) বিক্রি হচ্ছে পাঁচশ’ টাকা থেকে সাড়ে পাঁচশ’ টাকা কেজি ধরে, যা মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এমনটাই জানাচ্ছেন ভক্তরা।

আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দর ও উপকূলের বিভিন্ন আড়ৎ ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলেরা উপকূলীয় ও গভীর সাগরে যাওয়া-আসা করছেন। সমুদ্র থেকে আসা ট্রলারে যে পরিমাণ মাছ নিয়ে আসছে, তা দিয়ে খরচের মূলধন তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তবে কোনো কোনো ট্রলার ইলিশ নিয়ে ঘাটে ভিড়লেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানান মহাজনেরা।
স্থানীয় জেলেরা জানান, বৃষ্টির দিনে সাগরে মাছ বাড়ে। কিন্তু সম্প্রতি টানা বৃষ্টিপাত হলেও মিলছে না কাক্সিক্ষত মাছ। উপকূলের নদনদীতেও জেলেদের জালে মিলছে না ইলিশসহ অন্যান্য মাছ। এ সময় জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার কথা। ব্যবসায়ীরা জানান, বৈশাখ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত নদী কিংবা সাগরে ইলিশ পাওয়া গেলেও জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসকে ইলিশের ভরা মৌসুম ধরা হয়। কিন্তু মিলছে না ইলিশ। একাধিক জেলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইলিশের মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে তারা দিনরাত নিয়মিত জাল ফেলছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, এবার ইলিশ মিলছে না।
সাগরে ইলিশ কম পাওয়ার কারণ হিসেবে আলীপুর মৎস্যবন্দর ট্রলার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও মেসার্স মনি ফিশের ব্যবস্থাপক জলিল ঘরামি বলেন, মা ইলিশের সুষ্ঠু প্রজনন সময়কালে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা বসে থাকে না। তারা আমাদের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে প্রশাসনের আরো কঠোর নজরদারির প্রয়োজন। তা না হলে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে আমাদের কৃচ্ছ্রতাসাধন কোনো কাজে আসবে না।


আরো সংবাদ



premium cement
নাটোরে অগ্নিসংযোগের মামলায় দুলুসহ ৯৪ খালাস ক্রিড়া মন্ত্রণালয় ফ্যাসিবাদ মুক্ত হওয়া উচিৎ : নূরুল ইসলাম বুলবুল ব্রাজিলের বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন চট্টগ্রাম বিএনপি নেতা শামীমকে শোকজ, সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দিলে শাস্তি আধিপত্য বিস্তার এবং হত্যার প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড স্ত্রীসহ শেখ হাসিনার একান্ত সচিব জাহাঙ্গীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বেনাপোলে বিজিবি ও বিএসএফের সীমান্ত সম্মেলন কিউবাকে সন্ত্রাসের মদদদাতা দেশের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র পরকীয়া কাণ্ড : সিংগাইর থানার ২ পুলিশ ক্লোজ ঠাকুরগাঁও ও কুড়িগ্রামে আমান গ্রুপের শীতবস্ত্র বিতরণ সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার সময় জানাল সরকার

সকল