১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ভাঙন আতঙ্কে ৩০ হাজার পরিবার

-


বেড়িবাঁধ সংস্কার না করায় আতঙ্ক ও ভোগান্তিতে দিন পার করছেন হাজারো মানুষ। জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে যেকোনো সময় পানিতে তলিয়ে যেতে পারে ৩০ হাজার পরিবার। তাই দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন নীলফামারী ডিমলা উপজেলার তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।
পাউবো ডালিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে পাউবো’র আওতাভুক্ত বেড়িবাঁধ ৩৫ কিলোমিটার। যার পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৭ কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধের দুই ধারে গড়ে উঠেছে অসংখ্য টিনের চালার ঝুঁপড়ির বসতি। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার পরিবারের বসবাস বাঁধের ভিতরে ও বাইরে তিস্তার চর এলাকায়। দুর্যোগকালীন সময়ে বাড়ি ছেড়ে বেড়িবাঁধে অবস্থান নেন তাঁরা। ভিটেমাটিহারা এসব মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এদিকে বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে বাঁধের অনেক স্থান ভেঙে পড়েছে। উজানের ঢলে যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তিস্তার ভাঙনে ভিটেহারা দিনমজুর সুরুজ্জামান মিয়া (৫২) নয়া দিগন্তকে জানান, তিস্তা নদীপাড়ে বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের ঢালে পরিবার নিয়ে বাস করেন তিনি। দুই বছর আগে বেড়িবাঁধ ভেঙে ভিটেহারা হয় তাঁর পরিবার। এখন তিস্তার পানি বাড়লেই আতঙ্কে দিন কাটে তাঁদের। তিনি আরো জানান, হঠাৎ উজানের ঢলে বেড়িবাঁধের সাথে তাদের বসতভিটাও ভেসে গেছে। তখন কোনোমতে গাছ আঁকড়ে ধরে বেঁচেছিলেন আছিয়া। পরে নতুন করে বালুর বাঁধ সংস্কার হয়। নতুন বাঁধের ভেতরে আবার বসতি গড়েছেন তারা। কিন্তু সেই বাঁধ এখনো ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেস্বর গ্রামে দিনমজুর মোন্নাফ আলী, এরশাদ ও হাসনা বানুর চোখের পলকে বাঁধ ভেঙে তাদের বসতভিটাসহ জমানো অর্থ পুরোটাই গিলে নিয়েছে তিস্তা। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের ধারে আত্মীয়ের বাড়িতে। সেই আশ্রয়টুকুও নিরাপদ নয়। ঝাড়সিংহেস্বর গ্রামটি ভারত থেকে বাংলাদেশ অংশে তিস্তার প্রবেশমুখ কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্টে ভারত-বাংলা যৌথবাঁধ লাগোয়া।
তিস্তার ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বেড়িবাঁধের ঢালে বাস করছেন উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার।
পাউবোর ডালিয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফউদদৌলা বলেন, তাদের আওতায় ৩৫ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে ৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুর্যোগের সময় কোথাও ভাঙন দেখা দিলে তা মোকাবেলায় জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেফতার সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গাজার চলমান ঘটনাবলী সমসাময়িক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভুল : বসনিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকে ভারতের আসাম-মেঘালয় সীমান্তে আটক ৬৫ বাংলাদেশী ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুসলিম উম্মাহ'র মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হোসেনপুরে স্কুলশিক্ষকের বসতঘর পুড়ে ছাই রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টির আভাস 'শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে' সিংগাইরে ধলেশ্বরী নদী থেকে লাশ উদ্ধার সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর ওপর ডিম নিক্ষেপ

সকল