১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিবের স্বেচ্ছাধীন তহবিলের টাকা বিত্তবানদের পকেটে

-


যে অনুদান নির্ধারিত ছিল অসহায়-প্রতিবন্ধীদের জন্য, সে অনুদান দেয়া হতো নিজের পছন্দের সচ্ছল ও বিত্তবান অনুসারীদের। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিব্বুর রহমান মহিবের বিরুদ্ধে ‘স্বেচ্ছাধীন তহবিল’ নিয়ে স্বেচ্ছাচারের এমন অভিযোগ উঠেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রীসেবা অধিশাখার ২০১৯ সালের ২২ আগস্টের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, নিঃস্ব ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য গঠিত হয় স্বেচ্ছাধীন তহবিল। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই তহবিলের অর্থ অনুদান পেয়েছেন প্রতিমন্ত্রীর আস্থাভাজন দলীয় নেতাকর্মীরা। সেই তালিকায় দুস্থ-অসহায় কিংবা প্রতিবন্ধীদের নাম জায়গা পায়নি।
এমন সুবিধা বঞ্চিতদের একজন জাকির হোসেন (৫০)। শারীরিক প্রতিবন্ধী জাকির হোসেন ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালান। প্রতিবন্ধী হিসেবে এমপি-প্রতিমন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিলের কোনো টাকা আজ পর্যন্ত পাননি তিনি। জাকির হোসেন জানান, আমরা ওসব টাকা পয়সা পাই না। ওসব টাকা পায় বড় লোকেরা।

নিঃস্ব, অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের নামের বদলে সচ্ছল-বিত্তবান হয়েও প্রতিমন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিলের অনুদান পাওয়া কয়েকজন হলেন- উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সদ্য অপসারণ হওয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী পারভীনের ছেলে রাঙ্গাবালী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাকিবুল হাসান সৌরভ, তার বড় বোন রোমানা মান্না, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান টিটু, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রওশন আহম্মেদ মৃধার স্ত্রী আখিমনি, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপগণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস।
দিলীপ কুমার দাস জানান, আমাকে অবগত না করেই কামরুজ্জামান শিবলী (উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) নামটা দিয়েছে। টাকা পেয়েই আমি সেই টাকা গরিব-দুস্থদের দিয়ে দিয়েছি। এভাবে নাম দিয়ে আমাকে সামাজিকভাবে ছোট করা ঠিক হয়নি।

সূত্র বলছে, শুধু প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থাতেই নয়, প্রথমবার এমপি হয়েও মহিব্বুর রহমানের সময়কালের স্বেচ্ছাধীন তহবিলের বরাদ্দ তালিকা যেমন খুশি তেমনি করে করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একই পরিবারের সদস্যরাও ঘুরে-ফিরে এই বরাদ্দ পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। টিআর-কাবিখা থেকে শুরু করে সবকিছুই ছিল প্রতিমন্ত্রী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, স্বেচ্ছাধীন তহবিলের অনুদানের তালিকা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিব্বুর রহমান নিজেই করেছেন। বিতরণের দায়িত্ব শুধু আমাদের। আমরা শুধু বিতরণ করেছি। গত ২ জুলাই তার উপস্থিতিতেই অনুদানের টাকা তালিকা অনুযায়ী বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি বছর একবার এই বরাদ্দ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিব্বুর রহমানের মোবাইলে কল করলেও ফোন বন্ধ থাকায় এ প্রসঙ্গে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিদেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ৮ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বৃষ্টিতে ভাসবে ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট! মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে ঘেরার সিদ্ধান্ত ভারতের ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করার দিকে আরো এক ধাপ এগুলো ভারত! সেই আফগানিস্তানের কাছে শোচনীয় হার দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনূসের সাথে সাক্ষাত হচ্ছে না মোদির লেবাননে পেজারের পর ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে নিহত ২০, আহত ৪৫০ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ গ্রেফতার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আসলে কী হয়েছিল? মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করুন : তথ্য উপদেষ্টা বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে ঢাবিতে নামবে ‘মোবাইল কোর্ট’

সকল