১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ধামরাইয়ে এবার পেঁপে চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষকরা

নিজের পেঁপে বাগানে দাঁড়িয়ে আছেন কৃষক আমিনুল : নয়া দিগন্ত -


পেঁপে চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন এবার ঢাকার ধামরাইয়ের কৃষকরা। উপজেলার প্রায় ৬২ হেক্টর জমিতে চলতি বছরে পেঁপে চাষ করা হয়েছে। এতে ভিন্ন পেশা ছেড়ে অনেকেই পেঁপে চাষে মনোনিবেশ করছেন। উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পেঁপে চাষ হয়েছে।
ধামরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় প্রায় ৬২ হেক্টর জমিতে চলতি বছরে পেঁপে চাষ করা হয়েছে। এতে একাধিক কৃষক পেঁপে চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। হয়েছেন আর্থিকভাবে লাভবানও। ফিরে এসেছে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা। অল্প খরচে বেশি আয়ের ভালো একটি পথ হলো সবজি চাষ। পেঁপে চাষে আরো সুবিধা হলো এতে খরচের পরিমাণটা একেবারেই কম। কিন্তু লাভ বেশি। রোগবালাইয়ের ঝামেলাও নেই। ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও খুব একটা নেই। বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ করে তাই আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়েছেন এ অঞ্চলের অনেক কৃষকই।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ধামরাই উপজেলায় প্রায় ৬২ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ করা হয়েছে এবার। উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পেঁপে চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারে পাইকারি ও স্থানীয় লোকজনের কাছে বিক্রি করছেন।
রোয়াইল ইউনিয়নের খরারচর গ্রামের পেঁপে চাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আগে রিকশা চালাতাম। এবার রিকশা বাদ দিয়ে সবজি চাষ করছি। আমি দুই বিঘা জমিতে পেঁপের আবাদ করেছি। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁপের দাম ২৮-৩৩ টাকায় বিক্রি করছি। আমি প্রায় এক লাখ টাকার পেঁপে ইতোমধ্যে বিক্রি করে ফেলেছি। আরো প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি পেঁপে বিক্রি করতে পারব বলে ধারণা করছি। খরচ অনুযায়ী পেঁপে চাষে বেশ লাভবান হওয়া যায়।’

আমিনুল আরো বলেন, ‘পেঁপে চাষ করে সফলতা পেয়েছি। পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতাও ফিরে এসেছে। আগামীতে পেঁপের সাথে অন্য সিজনাল সবজিও চাষ করব।’
বহুতকুল এলাকার একলাস খান বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে। তাই বেশি জমি চাষাবাদ করতে পারি না। তারপরও এবার ৪০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ছয়-সাত হাজার টাকা। পেঁপে চাষে সার বীজ কম লাগে। শুধু ভারী বৃষ্টি হলে পেঁপে গাছটিকে বাঁশের খুঁটি দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। তা না হলে গাছ হেলে পড়ে যায়। আমি ৪০ হাজার টাকার পেঁপে বিক্রি করেছি। যদি বড় ধরনের কোনো সমস্যা না হয়, তা হলে আরও প্রায় এক লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারব।’
ইব্রাহিম হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘এখন সারা বছরই বাজারে কাঁচা-পাকা পেঁপে পাওয়া যায়। দাম স্বাভাবিকের মতোই আছে। ৩০-৩৫ টাকায় কেনা যায়। তবে বেশির ভাগ পেঁপেই ঢাকার দিকে চলে যায়।’
ধামরাই উপজেলা কৃষি অফিসার আরিফুর রহমান বলেন, ‘পেঁপে চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। সংরক্ষণেও রাখা যায় বেশ কিছু দিন। আমরা কৃষকদের বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষের জন্য উৎসাহ দিয়ে থাকি। ব্যালান্স সার ব্যবহার করলে পেঁপে গাছ ভেঙে পড়ে না। সারা বছরই পেঁপে চাষ করা যায়। পেঁপে গাছ বেশি লম্বা হলে ঝড়ো বাতাসে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আমরা খাটো জাতের হাইব্রিড পেঁপে চাষ করতে বলি।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেফতার সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গাজার চলমান ঘটনাবলী সমসাময়িক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভুল : বসনিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকে ভারতের আসাম-মেঘালয় সীমান্তে আটক ৬৫ বাংলাদেশী ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুসলিম উম্মাহ'র মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হোসেনপুরে স্কুলশিক্ষকের বসতঘর পুড়ে ছাই রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টির আভাস 'শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে' সিংগাইরে ধলেশ্বরী নদী থেকে লাশ উদ্ধার সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর ওপর ডিম নিক্ষেপ

সকল