৩০৩ বছরের প্রাচীন মামুন খলিফা জামে মসজিদ
- এস এম রহমান পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)
- ২৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
৩০৩ বছরের প্রাচীন চন্দনাইশের হজরত মামুন খলিফা রহ: শাহী জামে মসজিদে প্রতি জুমার নামাজে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ছে।
গত বছর ডিসেম্বরে এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন মহিলা মসজিদ নির্মাণ করা হয়। তিন হাজার বর্গফুটের ওই মসজিদটি আপাতত দ্বিতল করা হয়েছে। এটি ৯ হাজার স্কয়ার ফুট পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। তখন একসাথে চার হাজারেরও বেশি নারী নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদটি এখন দক্ষিণ চট্টগ্রামে সর্ববৃহৎ মহিলা মসজিদ হিসাবে পরিগণিত হয়ে আসছে।
জানা গেছে, ১৭২০ সালে ইসলাম প্রচারে সুদূর আরব দেশ থেকে হযরত মামুন খলিফা রহ: নামে একজন ধর্মপ্রচারক চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরকল ইউনিয়নের মধ্যম কানাইমাদারী গ্রামে আসেন এবং বসবাসসহ দীনের দাওয়াতের কাজ শুরু করেন। কথিত আছে, ওই সময়ই তিনি ওইখানে একটি মাটির মসজিদ নির্মাণ করেন। সেই থেকে মসজিদটি হযরত মামুন খলিফা রহ:’র নামে পরিচিতি পায়।
লোকমুখে আরো প্রচলিত হয়ে আসছে, একসময়ে ওই মসজিদটিকে গায়েবি মসজিদ হিসেবে দেখা হতো। পরবর্তীতে মসজিদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ছুটে আসেন এবং মসজিদে নামাজ আদায় করে আত্মতৃপ্ত হন। সে ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। এখনো প্রতিদিন দূর-দূরান্ত হতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ছুটে আসেন এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে। প্রতি শুক্রবার মসজিদটিতে ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল নামে।
বর্তমানে মসজিদটি দৃষ্টিনন্দনভাবে পাকা করে তৈরি করা হয়েছে। মসজিদে প্রবেশদ্বার দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়। প্রায় ৮০ শতক জায়গার উপরে মামুন খলিফা শাহী জামে মসজিদ ছাড়াও নতুনভাবে মহিলাদের জন্যও মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া হযরত মামুন খলিফা রহ:’র নামে একই জায়গায় একটি হেফজখানা, এতিমখানা ও নূরাণী এবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
মসজিদের বর্তমান মোতাওয়াল্লি আরিফুর ইসলাম চৌধুরী খোকন গতকাল বিকেলে নয়া দিগন্তকে জানান, তারা বংশপরম্পরায় এই মসজিদের মোতাওয়াল্লির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চট্টগ্রাম ছাড়াও এ মসজিদের সুনাম সমগ্র দেশে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মসজিদের পাশে মহিলাদের জন্য প্রথমে স্বল্পপরিসরে আলাদাভাবে মূল মসজিদে জামায়াতে নামাজের ব্যবস্থা ছিল। তাতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বড় আকারে আলাদা ভবন নির্মাণ শুরু হয়েছে। নতুন এ ভবন নির্মাণে তিনি মুসল্লিদের সহযোগিতা কামনা করেন।