০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

মিরসরাইয়ে ৭০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি

-


কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে রয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বাজারগুলোতে। সরবরাহ থাকার পরও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনো ৭০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, একেক সময় একেক অজুহাতে নিত্যপণ্য ও সবজির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে সবকিছু। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কারফিউ চলমান থাকায় এখনো সীমিত পরিসরে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে। যার কারণে দাম একটু বাড়তি।
গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার বড়তাকিয়া, মিঠাছরা বাজারসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দামে তারতম্য দেখা যায়।
দেখা গেছে, আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। পটোল ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, ধুন্দল ৭৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৯০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, টমেটো ২২০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
ডিমও বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা। আর পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১২০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়। পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। এছাড়া তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ২৬০, কাচকি ৫০০, কৈ ২০০ থেকে ২৪০, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশী টেংরা মাছ ৮০০ ও পাবদা মাছ কেজি ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গরুর গোশত কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা দরে।
মিরসরাই পৌরসদরে বাজার করতে আসা কিছমত জাফরাবাদ এলাকার এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘কারফিউর কারণে সবকিছুর দাম তিনগুণ বেশি। একে তো ইনকাম নেই, তার ওপর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মরা ছাড়া উপায় নেই।
আরেক ক্রেতা নুর উদ্দিন জানান, এখন সব খাদ্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কোনো পণ্যে নিয়ন্ত্রণ নেই। যার যেভাবে খুশি দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, এখন তো সরবরাহ না থাকার অজুহাতে তো পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে।
মাছ ব্যবসায়ী শংকর বলেন, পরিবহন সঙ্কটের কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আশা করছি দুই-এক দিনের মধ্যে দাম কমে আসবে।
বড়তাকিয়া বাজারে আসা এনামুল হক ফকির বলেন, সবসময় ব্যবসায়ীদের অজুহাত। আন্দোলন আর কারফিউ চলমান থাকার অভিযোগ করে পণ্যের ঘাটতির কথা বলে সব পণ্য কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
এ সরকার জনপ্রত্যাশার কী করবে? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন : তাজুল ইসলাম চিফ প্রসিকিউটর আবুধাবির কারাগার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪ বীর কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা : কনস্টেবল গ্রেফতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তগুলো যৌক্তিক : ফখরুল ‘একটি চক্র জামায়াত আমিরের বক্তব্য নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে’ অস্ত্র জমা দেয়নি শামীম ওসমান ও গাজী পরিবার এবি পার্টির উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া নিয়ে বিতর্কে মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ আশুলিয়ায় শ্রমিক দলের সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫ রূপগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা

সকল