০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

কেন্দুয়ায় চক্ষু রোগীদের দুর্ভোগ

-

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া সরকারি হাসপাতালে আজো চালু হয়নি কমিউনিটি আই সেন্টার। চিকিৎসা নিতে রোগীদের যেতে হয় দেশের অন্যান্য স্থানে। ফলে নিদারুণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এ উপজেলার চক্ষু রোগীরা। তাই জনমনে চরম ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। অথচ আধুনিক চক্ষুসেবা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ‘কমিউনিটি আই সেন্টারে’ যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রচার করা হচ্ছে ব্যাপকভাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চার লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত কেন্দুয়া উপজেলায় চক্ষু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ছোট বড় সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন চক্ষু রোগে। বয়োবৃদ্ধি, মোবাইল ফোনের আধিক্য ব্যবহারসহ নানা কারণে দিন দিন বাড়ছে এ রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই চক্ষু রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন এ হাসপাতালে। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় হতাশ হয়ে মনে অত্যন্ত কষ্ট নিয়ে ফিরে যান বাড়িতে। চিকিৎসা নিতে যান ঢাকা, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকসহ নানাভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রোগীরা। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ‘কমিউনিটি আই সেন্টার’ এ গিয়ে চক্ষুসেবা নিতে সরকারিভাবে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হলেও কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আজো স্থাপন করা হয়নি এ সেন্টার।
কন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত মঙ্গলবার লিয়াকত আলী, নুরুল ইসলাম, আবুল কাশেম, আয়েশা খাতুন, ফারুক আহমেদসহ দেখা হয় অনেক রোগীর সাথে। তারা এসেছেন চক্ষু রোগের চিকিৎসা নিতে। কিন্তু চক্ষু রোগের ডাক্তার না থাকায় হতাশ হন। ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন তারা। চক্ষু সমস্যায় আক্রান্ত ১০ বছরের আরিয়ানকে নিয়ে আসা মেহেরোজ পারভীন বলেন, ‘আমার ছেলেটার চোখে সমস্যা। কিন্তু এখানে ডাক্তার নাই তাতো জানি না! কি আর করা, কালই ময়মনসিংহ যেতে হবে।’
চক্ষু রোগীদের সমস্যার কথা স্বীকার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: নিজাম উদ্দিন বলেন, চক্ষু ডাক্তার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি না থাকায় এ হাসপাতালে কমিউনিটি আই সেন্টার চালু করা যাচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement