০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
সৌদি আরবের খেজুর চাষ

কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মোশাররফ

নিজের খেজুর বাগানে মোশাররফ হোসেন : নয়া দিগন্ত -

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন সৌদি খেজুরের বাগান করেছেন। আর এ বাগান থেকে তিনি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
এ ব্যাপারে খেজুর বাগানের মালিক মোশারফ হোসেন জানান, গত কয়েক বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম বাজার ব্যবস্থাপনা ও আমের দর পতনের কারণে অনেকেই পুঁজি হারিয়ে রাস্তায় বসার জোগাড় হয়েছে। এ অবস্থায় লাভজনক নতুন কিছু করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে এ খেজুর বাগান তৈরির কাজ শুরু করেন।
মোশারফ বাগান তৈরির প্রথম দিকে ময়মনসিংহ থেকে কিছু খেজুরের চারা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে সৌদি আরব, দুবাই ও ওমানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নতমানের খেজুরের বীজ সংগ্রহ করে ১০ বিঘা জমিতে খেজুর বাগান তৈরি করেছেন। এ বাগানে আজুয়া, বারহি, রেড গোল্ড, দাবাস, বরই ও ডিজিলেট নূরসহ বেশ কয়েক জাতের খেজুর গাছ রয়েছে। এসব গাছের মধ্যে প্রায় ৩৫০টি মহিলা খেজুর গাছ। এইসব গাছ থেকে কিছু দিনের মধ্যেই খেজুর সংগ্রহ শুরু হবে।
মোশারফের বাগান তৈরিতে ইতোমধ্যে ৩০ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। বাগান থেকে প্রতি বছর কিছু খেজুর সংগ্রহ এবং চারা তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে তা দিয়েই বাগান রক্ষণাবেক্ষণ, সেচ, সার প্রয়োগসহ প্রয়োজনীয় খরচ জোগানো হচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে প্রতিটা গাছে খেজুর ধরার পরিমাণও বাড়ছে। আট বছরে সব খেজুর গাছ পূর্ণতা পাবে, তখন প্রতি গাছে ১০০ কেজির মতো খেজুর হবে এবং আমার বাগান থেকে প্রতি বছর ৩০ লাখ টাকা নিট আয় হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরো জানান, তার বাগানের উৎপাদিত খেজুর নিজস্ব প্রযুক্তিতেই বাগানে শুকানো হচ্ছে। আমার বাগানের খেজুর বাইরে থেকে আমদানি করা খেজুরের চেয়ে অনেক গুণ ভালো। প্রতিদিন বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থীরাও এমন মন্তব্য করছেন। আগামীতে বাগানের উৎপাদিত খেজুর দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতে পারব বলে আশা করছি। বাগান তৈরিতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। আর এ বাগান দেখে স্থানীয় অনেকেই খেজুর বাগান করবেন বলে জানা গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement