রূপগঞ্জে কিশোর গ্যাং সক্রিয়

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন, তারাবো পৌরসভা, ভুলতা, গোলাকান্দাইল, ভোলাব, দাউদপুর ও রূপগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। এখানে অর্ধশতাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তারা মাদক কেনা-বেচা থেকে শুরু করে, ডাকাতি, ছিনতাই, নারী নির্যাতন, মাদক সেবন ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
জানা গেছে, রূপগঞ্জের ভুলতার বায়েজিদের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রয়েছে ৭০ জন। গোলাকান্দাইলের সেভেন গ্যাং ও ডেঞ্জার গ্রুপ এক আতঙ্কের নাম। গোলাকান্দাইলের সাজ্জাদ, সাদেক, রবিউল, আমিনুল ও আরমান কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন। কিশোর গ্যাংয়ের নেতা শাওনের নামে রূপগঞ্জ ও ভৈরবসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। চনপাড়ার শ্রাবন গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। কাঞ্চন পৌরসভা ও দাউদপুর ইউনিয়নেরও একই চিত্র।
তারাবো পৌরসভার হাটিপাড়া এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছে শাকিল, আলফাজ, শিফাত, শান্ত ও রিফাত। নোয়াপাড়ায় মাহবুব হোসেন, বরাবো এলাকার উজ্জ্বল, ইয়াছিন, রিয়ান ও শাওন।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে কিশোর গ্যাং সদস্যদের শেল্টার দিচ্ছেন। অন্যের জমি দখল, নতুন ঘর-বাড়ি নির্মাণে চাঁদা আদায়ে জড়িয়ে পড়ছে।
গোলাকান্দাইলে কিশোর গ্যাংয়ের নেতা ১৩ মামলার আসামি মাছুম বিল্লাহ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে তারাবো পৌর এলাকার গ্যাংয়ের নেতা সজিবকে অস্ত্রসহ র‌্যাব গ্রেফতার করেছে।
রূপগঞ্জ উপজেলার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যা ও মাদক ব্যবসাসহ সব অপরাধ নির্মূলে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, কিশোর গ্যাংসহ অপরাধীরা যে দলেরই হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধ নির্মূলে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।