চুয়াডাঙ্গায় ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ১২ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
চুয়াডাঙ্গা জেলার অধিকাংশ ঘরে ঘরে ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। পাঁচ থেকে সাত দিন জ্বর-সর্দি-কাশির তীব্রতা থাকছে। এ ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুর সংখ্যা বেশি। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চাপ বেড়েছে সদর হাসপাতালেও। দুই মেডিসিন ওয়ার্ডে জায়গার নেই বললেই চলে। মেঝেতেও ঠাঁই মিলছে না রোগীর। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা: ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, শুধু জ্বরই নয়, জ্বরের সাথে কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীরাও আসছেন প্রতিনিয়ত। এ ছাড়া প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগেই ৫ শ’ থেকে সাড়ে ৫ শ’ রোগী জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সদরের হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, এটি ভাইরাসজনিত জ্বর ও ঠাণ্ডা কাশি। বৃষ্টির কারণে ঘরের ভেতরে কিছুটা ঠাণ্ডা আবার বাইরে গরম; তাই এ সময় সাবধান থাকতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডসূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুলাই থেকে ১০ জুলাই দুপুর ১২টা পর্যন্ত দু’টি ওয়ার্ডে মোট ভর্তি হয়েছেন ৫৪৫ জন রোগী। এর মধ্যে মহিলা ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা ৪৬ এবং কেবিন ৩টি। পুরুষ ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ৬৫ এবং কেবিন দু’টি। এর বিপরীতে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৬০ জন এবং মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৮৫ জন ভর্তি হয়েছেন গত তিনদিনে। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই জ্বর ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
এ দিকে, গত বুধবার দুপুরে দুই ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায়, মেঝেতে বিছানা পেতে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। সামান্য পরিমাণ জায়গা নেই। রোগীদের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। এ ছাড়া, জ্বরের সাথে কাশি, শ্বাসকষ্ট, হার্টসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।
পারভিন আক্তার নামে এক নারী বলেন, চারদিন আগে আমার শাশুড়ি ঠাণ্ডা-জ্বর-শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে নিয়ে এলে ভর্তি করিয়ে দেন।
ডা: ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন আরো বলেন, হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীর চাপ। ধারণক্ষমতার থেকে প্রায় দ্বিগুণ রোগী আছে বর্তমানে। বেশির ভাগ রোগীই ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা