নন্দীগ্রামে নকল বীজে সয়লাভ বাজার : প্রতারিত কৃষক
- নন্দীগ্রাম (বগুড়া) সংবাদদাতা
- ১২ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
কৃষিই যখন কৃষকের ভরসা তখন নকল ধানের বীজে প্রতারিত হচ্ছেন নন্দীগ্রামের কৃষকরা। কথায় আছে ভালো ফলন পেতে হলে ভাল বীজ রোপন করতে হবে। কিন্তু সেই বীজই যদি নকল বা নিম্নমানের হয় তবে যতই পরিচর্যা করা হোক না কেন ভালো ফলন আশা করা যায় না। নন্দীগ্রাম উপজেলার বেশির ভাগ বাজারে দোকানগুলোতে নকল ও নিম্নমানের বীজ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এসব নকল বীজ কিনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন উপজেলার সাধারণ কৃষকরা।
দেশের শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যই রোপা আমন ধান লাগানোর কাজ শুরু হবে। রোপা আমনের জন্য সাড়ে ৮ শ’ হেক্টর জমিতে ব্রি-৩৪, ৪৯, ৫১, ৭৫, ৮৭, ৯০, ৯৫, বিনা-৭, বিনা-১৭ স্বর্ণা, মিনিকেট, কাটারিভোগ ও হাইব্রিড-১০৩ জাতের বীজতলা ফেলেছেন কৃষকরা। তবে এসব ধানের বীজের মধ্যে বেশির ভাগ কৃষক ব্রি-৪৯ জাতের বীজ বপন করে থাকেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বীজের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি বীজের পাশাপাশি বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির বীজ বিক্রি করা হচ্ছে। যাদের নেই কোনো সরকারি বীজ প্রত্যয়নকারী সংস্থার সনদ। এ ছাড়াও অনেক সার-কীটনাশক দোকান মালিকরা বাজার থেকে নিম্নমানের ধান ক্রয় করে চমকপ্রদ প্যাকেট করে কৃষকদের নয়ছয় বুঝিয়ে অধিক দামে বিক্রি করছেন এসব বীজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুড়ইল ইউনিয়নের কৃষকরা জানান, আমি ব্রি-৪৯ জাতের বীজ কিনেছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় ভেজাল বীজ হওয়ায় ধানে কোনো ট্যাক গজায় নাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, উপজেলার রনবাঘা বাজারের আবু বক্কর ইনছান আলী, সিমলা বাজারের রুহুল আমিন, সজল, মুনির, কামালকুড়ি বাজারের আরিফ, পুনাইল বাজারে মিজান ও নন্দীগ্রাম সদরসহ অর্ধশত স্থানে লাইসেন্সবিহীন ডিলাররা সরকার নির্ধারিত মূল্যকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উচ্চমূল্যে এসব বীজ বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, বিভিন্ন বাজারে এসব নকল বীজ বিক্রির কথা শুনে সরেজমিনে গিয়ে তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা