১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আদমদীঘিতে দুই বছরেও শেষ হচ্ছে না রাস্তার কাজ

-

বগুড়ার আদমদীঘিতে দুই বছর ধরে চলমান একটি রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ না করেই ফেলে রাখা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হেন গাফিলতির কারণে যানবাহনসহ পথচারীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও তারাও দায়সাড়াভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, এলজিইডি বগুড়ার অধীনে আরডিআর আইডিপি প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্তকরণ ও উন্নয়নের জন্য সাড়ে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০২২ সালের ২১ জুন সড়কটির প্রশস্তকরণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের উপর ইটের খোয়া বিছিয়ে রেখে কাজ বন্ধ করে দেয়।
সরেজমিন দেখা যায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার রহিম উদ্দীন কলেজ গেটের সামনে থেকে ছাতিয়ান গ্রাম পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়নের জন্য দীর্ঘদিন ভোগান্তির পর অবশেসে কোন রকমে রোলার মেশিন চালিয়ে সমতল করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে রোলার করে রাখা সড়কটির ইটের খোয়া উঠে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তাটি মারাত্মক ঝুঁকিপুর্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই সড়কে বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি এবং শুষ্ক মৌসুমে (খরার সময়) ধুলোর কারণে যানবাহন ও পথচারীরা বিকল্প সড়কে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে এই সড়ক বাদ দিয়ে নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে আদমদীঘি সদরে চলাচল করছেন অনেকে। এতে বাড়তি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম, পথচারী হাসিবুল ইসলাম শাকিল, রফিকুল ইসলাম মন্টু, অটো রিকশাচালক টোটন ও রবিউল বলেন, রাস্তা দিয়ে কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে। কিন্তু দুই বছর পার হলেও কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করা হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায়। বয়স্ক লোকজন ও রোগীদের চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা বলেন, বৃষ্টির জন্য শ্রমিক পাচ্ছেন না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা শ্রমিক পেলেই কাজ শুরু করবে।


আরো সংবাদ



premium cement