মুরাদনগরে জমে উঠেছে শতবর্ষী কোষা নৌকার হাট
- নাজিম উদ্দিন মুরাদনগর (কুমিল্লা)
- ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৭
চলছে বর্ষার মৌসুম। নদ নদীতে থই থই পানি। আর তাই কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্য রামচন্দ্রপুর বাজারে শত বছরের পুরনো নৌকার হাটে কোষা নৌকা ক্রয় বিক্রয় চলছে উৎসবের আমেজে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট তৈরি হওয়ায় ডিঙি, ডোঙা, সাম্পান, বজরা, গয়না, ময়ূরপঙ্খী, পানসী, ইলশা ও সওদাগরীসহ পণ্যবাহী নৌকার প্রায় বিলুপ্তি ঘটেছে।
কিন্তু রামচন্দ্রাপুরে কোষা নৌকার হাট এখনো টিকে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। এ হাটে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার, নরসংদীর মাদবদী, ব্রাহ্মহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও কুমিল্লার হোমনা, মুরাদনগর উপজেলার শত শত মানুষ নৌকা কিনতে ও বিক্রি করতে আসছেন। সরেজমিনে গত মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটে রামচন্দ্রপুর বাজার বাস টার্মিনাল ও কাচারি বাজারে এলাকাজুড়ে নানা ঢংয়ের ছোট ছোট নৌকা দেখা গেছে। পুরো এলাকা দৃষ্টিনন্দন করেছে সারিবদ্ধভাবে রাখা শত শত কোষা নৌকা। ক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠেছে হাট।
কৈজুরি গ্রামের নৌকার কারিগর রামপ্রসাদ ও বিক্রেতা বিমল বলেন, প্রতি সপ্তাহে ১০ থেকে ১২টি নৌকা তৈরি করে হাটে নিয়ে আসি। বর্তমানে কাঠ লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে। আমরা জামরুল, রেইনট্রি, আম, কদম ও শিমুল কাঠ দিয়ে নৌকা তৈরি করি। ইজারাদার মুশিদ মিয়া বলেন, এখানে ছোট নৌকা ৩ থেকে ১০ হাজার, মাঝারি ১২ থেকে ২০ হাজার এবং বড় নৌকা ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন সরকার বলেন, বর্ষা এলেই উপজেলার সব কটি ইউনিয়নের লোকজন এখানে নৌকা কিনতে আসেন।
মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর বলেন, তিতাস নদীর পাড়ে রামচন্দ্রপুর বাজারটি আমার ইউনিয়নে পড়েছে। সাপ্তাহিক হাটের সুনাম রয়েছে নারায়ণগঞ্জ, নরসংদী, বাবুর হাটসহ ব্রাহ্মহ্মণবাড়িয়া জেলা জুড়ে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা