১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
বাড়তি আয়ের আশা

চাটমোহরে বস্তায় আদা চাষ বাড়ছে

বস্তায় আদা গাছের পরিচর্যা করছেন এক কৃষক : নয়া দিগন্ত -

পাবনার চাটমোহরের কিছু সংখ্যক কৃষক বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন। মসলা এবং ভেষজ ওষুধ হিসেবে সারা দেশে আদার ব্যাপক ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমান বাজারে এ ফসলটির দামও বেশ চড়া। পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে ও বাড়তি কিছু আয়ের আশায় আদা চাষ করছেন চাটমোহরের কৃষকরা।
চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাটমোহরের মথুরাপুর, ডিবিগ্রাম, ছাইকোলা, পার্শ্বডাঙ্গাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এ বছর দশ হাজার বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে বস্তায় আদা চাষে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে কৃষকের মধ্যে।
ছাইকোলা গ্রামের আতিকুর রহমান জানান, ইউটিউবে ভিডিও দেখে তিনি এ প্রথম বস্তায় আদা চাষ করছেন। মাটির সাথে গোবর সার, খৈল, ছাই, ভার্মি কম্পোস্ট, জিংক, বোরণ মিশিয়ে তিনশ বস্তা মাটি প্রস্তুত করেন। ৩৫০ টাকা কেজি দরে ২২ কেজি থাইল্যান্ডের বীজ আদা সংগ্রহ করেন দিনাজপুর থেকে। প্রতি বস্তায় ২০ থেকে ২৫ কেজি মাটি ভরে বসত ঘরের দুই পাশের ছোট উঠানে বস্তাগুলো স্থাপন করে গত এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে আদার কন্দগুলো রোপণ করেন। কয়েক দিনের মধ্যে অঙ্কুুরোদগম হয়ে দ্রুত বেড়ে উঠছে আদা গাছগুলো। তিনি আরো জানান, কাছিকাটা বাজারে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করেন তিনি। মাঠে তিন বিঘা নিচু জমি রয়েছে তাদের।
রোপণের আট মাস পর আদা সংগ্রহ করা যাবে। প্রতি বস্তায় এক কেজি করে আদা পেলেও ৩০০ কেজি আদা পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে মাত্র ১৬ হাজার টাকা। এলাকার বিভিন্ন বয়সী মানুষ বস্তায় আদা চাষে পরামর্শ নিচ্ছেন। থাই আদার পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে কয়েক বস্তায় মিয়ানমার ও দেশী আদা চাষ করছেন। ভবিষ্যতে চাষের পরিধি বাড়াবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, এপ্রিল-মে মাস আদার কন্দ রোপণের উপযুক্ত সময়। আদা মূলত পাহাড়ি এলাকায় ভালো হয়। বস্তায় আদা চাষে আলাদা জমি অপচয় হয় না। আমরা কৃষকদের আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করছি, কারিগরি সহায়তা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ভালো মানের বীজ সংগ্রহে সহায়তা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement